হাসিনা সরকারের বিপদে ভারতের অস্তিত্ব সংকট! আমেরিকাকে সতর্ক করেছিল ভারত

0
4

বাংলাদেশে হাসিনা সরকার পড়ে গেলে ভারতের অস্তিত্ব সংকট হতে পারে। বাংলাদেশের অস্থিরতার পরিস্থিতিতে আমেরিকাকে এভাবেই সতর্ক করেছিল ভারত সরকার। কূটনৈতিক স্তরে ভারতের এই সতর্কতার পরে হাসিনা বিরোধিতা কমিয়েছিল আমেরিকাও। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরে চাঞ্চল্যকর সত্য প্রকাশ্যে এল। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পুরোনো বিষয় হয়তো এখন আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে এরই মধ্যে ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদিকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেকথা জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

হাসিনা সরকারের পতনের আগে সেখানে গণতন্ত্রের দুরবস্থা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিল আমেরিকা। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারসাম্য রেখে চলার নীতি থেকে সরে এসেই প্রতিবাদ করা হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকে বার্তা যায়, আমেরিকা গণতন্ত্রের দিকে বিচার করে নিজেদের অবস্থান নিতে পারে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে সেটা অস্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়, হাসিনা সরকারের পতন হয়ে গেলে বাংলাদেশে ইসলামীয় মৌলবাদী সরকারের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হবে, যা ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।

ভারতের সঙ্গে বরাবর সুসম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী আমেরিকা সেই পরিস্থিতিতে ভারতের বক্তব্যে সহমত প্রকাশ করে হাসিনা সরকারের উপরে চাপ দেওয়া বন্ধ করে, জানান আমেরিকার এক আধিকারিক। সেই সঙ্গে সেই মুহূর্তে হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে আমেরিকার কূটনীতিকদের বিপদে ফেলার পথ থেকেও সরে আসে বাইডেন প্রশাসন।

তবে হাসিনা সরকার পড়ে গিয়ে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরে তাঁদের প্রথম পদক্ষেপে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখারই ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন মহম্মদ ইউনুস। বর্তমান পরিস্থিতির উপরে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মত বিনিময় হয়। গণতান্ত্রিক, স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনে থাকবে ভারত, এমনটা ইউনুসকে জানান মোদি। পাল্টা বাংলাদেশের সব হিন্দু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের রক্ষা, সুরক্ষা ও নিরপত্তার আশ্বাস দেন ইউনুস, জানান মোদি।