অতীত ঘাঁটতে গিয়ে আর জি কর (R G Kar Hospital) কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায় সম্পর্কে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফাঁস হচ্ছে একের পর এক কুকীর্তি। জানা গিয়েছে, ধৃত সঞ্জয়ের চারটি বিয়ে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হতো স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। তার জেরেই প্রথম তিনজন স্ত্রী সঞ্জয়কে ছেড়ে পালায়।

কলকাতা পুলিশের এই গুণধর সিভিক ভলান্টিয়ার ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চতুর্থবারের জন্য পার্ক সার্কাসের ক্রিস্টোফার রোডের শান্তি রামকে বিয়ে করে। একমাস পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। শারীরিক নির্যাতন, গয়নাগাটি কেড়ে নেওয়া, এসব লেগেই ছিল। শুধু তাই নয়, বিয়েতে বাপের বাড়ি থেকে পাওয়া প্রায় দেড় লক্ষ টাকার গয়না চুরি করে বিক্রি করে দেয় সঞ্জয়। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে ধরেন সঞ্জয়ের চতুর্থ স্ত্রীর মা দুর্গা রাম। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট কালীঘাট থানায় এই মর্মে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন শান্তি। তার ভিত্তিতে জেনারেল ডায়েরি করে পুলিশ। তার এই কু-কর্মের জন্য প্রাথমিকভাবে ধমক দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় সঞ্জয়কে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন সঞ্জয়ের চতুর্থ স্ত্রী শান্তি। ওই বছরই ১০ আগস্ট মৃত্যু হয় তাঁর। তখন তিন মাসের গর্ভবতী ছিলেন বধূ।

পার্ক সার্কাসের রাম পরিবারকে। মৃতার বোনের অভিযোগ, প্রতিদিন মদ্যপান করত সঞ্জয়। কোনও কাজ করত না। রোজগারপাতিও ছিল না। শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে আসার জন্য শান্তিকে চাপ দিত সে। প্রতিবাদ করলেই কপালে জুটত মারধর। পরিবার সূত্রে খবর, সঞ্জয়ের বাড়ি ফেরার কোনও সময় ছিল না। রাত ২-৩টে নাগাদ ফিরত। আবার কখনও ফিরত না। কিন্তু, সেকথা বাড়িতে জানানোর প্রয়োজনও মনে করত না।

অন্যদিকে, আর জি কর ( R G Kar Hospital) কাণ্ডের পর সঞ্জয়ের আরও নানা কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই থাকছে। এবার জানা গেল, কাশীপুরের এক তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে ফোন করে উত্ত্যক্ত করত সঞ্জয়। সঞ্জয়ের মোবাইলের কলরেকর্ড থেকে সেই নম্বর পায় পুলিস। তারপর ওই তরুণীকে লালবাজারে ডেকে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, মাস তিনেক আগে আর জি করে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সঞ্জয় সে সময়ে তাঁকে সাহায্য করে। সেই সুযোগে ওই তরুণীর প্রেসক্রিপশন থেকে দেখে নেয় তাঁর ফোন নম্বর। ব্যস! এর পর থেকে শুরু হয় ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করা
আরও পড়ুন: আর জি কর-কাণ্ড: ১৬৪ সদস্যের SIT করছে তদন্ত, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিশ্লেষণ








































































































































