বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না CPIM নেতা সুশান্ত ঘোষের (Sushanta Ghosh)। কঙ্কালকাণ্ডের পর ফের এবার আরেক কুকীর্তির অভিযোগ একসময়ের দাপুটে বাম নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন এক মহিলার সঙ্গে সহবাস করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সিপিআইএমের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা। স্থানীয় থানায় অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।বাম আমলে ১৯৮৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টানা ২৯ বছর গড়বেতা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। মন্ত্রীও হন। ২০০২-এ বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে তাঁর নাম জড়ায়। জেলেও যেতে হয় তাঁর। পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন। সুশান্তকে জেলা সম্পাদক করে সিপিআইএম। কঙ্কালকাণ্ডের পরে এবার সহবাসের অভিযোগ সামনে আসায় জেলাজুড়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সেচদফতরে চাকরিরতা মহিলা তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন তৎকালীন মন্ত্রী সুশান্ত তাঁকে চাকরির টোপ দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেন। মহিলার কথায়, “২০০৬-এ তৎকালীন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেই সময় মন্ত্রী বলেছিলেন, আমার জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। সেইমতো তিনি একদিন বাড়িতে ডেকে পাঠান। এরপর নিজের বাড়িতেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।“ অভিযোগ মহলিরা। এর পরে একাধিকবার তাঁকে ডেকে সুশান্ত সহবাসে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে আমার বিয়ে হলেও প্রাক্তন মন্ত্রী সম্পর্ক রেখে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ পত্রে লেখেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, “এর ফলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর সুশান্তবাবুর সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তিনি কোনও স্বীকৃতি আমায় দেননি। পরে জানতে পারি, আরও একাধিক মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।“ অভিযোগকারী মহিলার বাড়ি মেদিনীপুর শহরে এখন তিনি সুশান্ত ঘোষের শান্তির দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে সিপিআইএমের শীর্ষ স্তরে আলোচনা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত কমিটি গড়ে আলিমুদ্দিন। নির্যাতিতা মহিলার বাড়িতে ঘুরেও গিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। সুশান্তকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে বলেও খবর। যদিও, বিষয়টি নিয়ে বাইরে মুখ খুলতে চাইছে না সিপিএম নেতৃত্ব। রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস জানান, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।“ আর যাঁর বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ, উড়িয়ে সিপিএম নেতার দাবি, “আমার কাছে কোনও খবর নেই। বাকি বিষয় সম্পর্কেও আমার জানা নেই।“ তবে, দলীয় সূত্রে খবর, সুশান্তকে নিয়ে ফের অস্বস্তিতে আলিমুদ্দিন।