কোটার দাবি মেটার পরেও রক্ত ঝরছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণ চেয়ে ফের রাস্তায় নেমেছে পড়ুয়া এবং যুবসমাজের একাংশ। কোথাও জ্বলছে পার্টি অফিস। কোথাও আস্ত একটা মানুষ। আন্দোলনকারীদের দিকে কোথাও বলপ্রয়োগ পুলিশের। কোথাও থানায় পড়ে সার সার মৃতদেহ। পরিস্থিতি শামাল দিতে সোমবার থেকে বাংলাদেশে তিন দিন ছুটি ঘোষণা করেছে হাসিনা সরকার।
কোটা আন্দোলনের নামে কার্যত ধ্বংস উপত্যকার চেহারা নিতে চলেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে জারি হয়েছে অনির্দিষ্টাকালের জন্য কার্ফু। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। সপ্তাহের শুরুতেই বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক। এমনকি তিনদিন শেয়ার বাজারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সহ সব আদালতও বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা এখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছেন। ফলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে আওয়ামী লিগ। আন্দোলনকারীরা কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লিগের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীদের পুলিশ ও আওয়ামী লিগ কর্মীরা একযোগে প্রতিরোধ করছে। আর তাতেই লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সন্ধ্যা ৬টায় যে সংখ্যাটা ছিল ৬০ এর কাছাকাছি, রাতের দিকে সেটা শতাধিক পার হয়ে গিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে নতুন করে হিংসা ছড়ানোয় ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করছে দিল্লি। বাংলাদেশে ভারতের সহকারী রাষ্ট্রদূতের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সিলেটের এখতিয়ারে বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল ভারতীয় নাগরিকদের এই দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। সকলকে +৮৮-০১৩১৩০৭৬৪০২১ এই নম্বরে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কলকাতা পুলিশের ‘শ্রাবণের ধারার মতো’ জমজমাট অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত কৃতী পড়ুয়ারা







































































































































