বিশ্বের উন্নত দেশগুলি যখন সামাজিক ক্ষেত্রে সমকামী, রূপান্তরকামী বা যৌন কর্মীদের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ সরল করার পথে হাঁটছে, ভারতে তখন ক্রমশ মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনার প্রতিফলন। রক্তদান থেকে সমাজের এই শ্রেণিগুলিকে বিরত রাখার পথে এবার প্রশ্ন তুলল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রক্তদানে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট।


২০১৭ সালে ন্যাশানাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিল ও ন্যাশানাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন রক্তদাতা সংক্রান্ত নির্দেশিকায় সমকামী, রূপান্তরকামী ও মহিলা যৌন কর্মীদের রক্তদাতার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এত বছর ধরে সেই নিয়মই বলবৎ রয়েছে। সম্প্রতি এই শ্রেণিগুলির রক্তদানের অধিকারের দাবি জানানো হয়, সংবিধানের ১৪, ১৫, ১৭ ও ২১ নম্বর ধারা মেনে। অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় যেখানে রক্তদাতার স্ক্রিনিং সম্ভব, সেখানে কেন এই শ্রেণি বিভেদ, প্রশ্ন তোলেন আবেদনকারী।

এই বছরই আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, গ্রিস, জার্মানির মতো দেশগুলি এই ধরনের নির্দিষ্ট শ্রেণির উপর রক্তদানে বিধিনিষেধের আইন প্রত্যাহার করেছে। ১৯৮০-র দশক থেকে এই নিয়ম মেনে চলার পরেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কথা মাথায় রেখে বদল হয়েছে তাঁদের সিদ্ধান্তে। এরপরই ভারতেও আইন প্রত্যাহারের দাবি ওঠে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্রের জবাব তলব করেছে।










































































































































