শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ‘ভুয়ো’ শিক্ষকদের বেতনের অর্থ পুনরুদ্ধারে রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন এই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্যকে জমা দিতে হবে আদালতে। ঘটনার সূত্রপাত মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এ রহমান হাই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে। সেই নিয়োগ বেআইনি ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় হাই কোর্টে। সেই মামলাতেই প্রকাশ্যে আসে বেশ কয়েক জন ভুয়ো শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য। অভিযোগ ওঠে, তাঁরা নথি জাল করে চাকরি পেয়েছেন। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তদন্ত এগোতেই, রাজ্যের আরও পাঁচ ভুয়ো শিক্ষকের নাম সামনে আসে। বিচারপতি বসু জানান, ওই শিক্ষকদের বেতন সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা ফেরত নিতে হবে রাজ্যকে।
এই মামলায় এসএসসি পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান এখনও জেল হেফাজতে। অভিযোগ উঠেছে, ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হয়নি । মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। এসএসসির কাছে বিচারপতি বসু জানতে চান, আদালত বলার পরেও কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে এত দেরি হচ্ছে। কেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হয়নি। পরবর্তী শুনানিতে আদালতে এর কারণ ব্যখ্যা করতে হবে এসএসসিকে। আগামী ১২ অগস্ট হাই কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।