প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এক নাগাড়ে বৃষ্টি। কখনও একটু কম, তো কখনও মুশলধারে। বাণিজ্যনগরীর নিচু এলাকা থেকে জল সরতেই পারেনি। শুক্রবার সকালে এত বৃষ্টি হয় যে মালান্দ এলাকার উঁচু বাড়িগুলিও যেন মেঘে ঢেকে যায়। ফের শুক্রবার বিকালের জোয়ারে গোটা শহর জলের তলায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। আরও তিনচার ঘণ্টা এভাবে বৃষ্টির সতর্কতাই জারি করছিল আবহাওয়া দফতর।

গত সপ্তাহেই রেললাইন জলের তলায় চলে যাওয়ার থমকে গিয়েছিল রেল চলাচল। শুক্রবার সকালে সাতটা থেকে আটটায় এতটাই ভারী বৃষ্টি হয় যে প্রায় সেই পরিস্থিতির পুণরাবৃত্তি হয়। বৃষ্টি হয় ৯৩.১৬ মিলিমিটার। ঘুরপথে চলাচল করে যানবাহন। সিওনের মতো নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। খানিকটা দেরিতে হলেও সাবার্বান ট্রেন পরিষেবা চালু থাকে। বিমান পরিষেবা বেশ খানিকটা দেরিতে হলেও, পরিষেবা বন্ধ হয়নি। ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের দেরির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও বিমানের গতিবিধি আগে থেকে পর্যবেক্ষণ করে রওনা দেওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার সকালে একরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হলেও বিকালের পরে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আবহাওয়া দফতর। বিকাল ৪.০৯ মিনিটে ভরা জোটার আসার সতর্কতা আরব সাগরে। সেই জোয়ারের উচ্চতা হবে ৩.৮৭ মিটার। সেই জোয়ার শহরে ঢোকার পরে বাণিজ্য নগরীর পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দফতর। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় শহরের জল বেরোনোর প্রক্রিয়াও বাধা পাচ্ছে।

জোয়ারের পাশাপাশি মুম্বই, পালঘাট এলাকায় ফের বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। অন্যদিকে থানে, নভি মুম্বই এলাকায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। বৃষ্টি বাড়লে উড়ানে প্রভাব পড়বে বলেও দাবি বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যেই বিমান বন্দর টার্মিনালে ঢোকার রাস্তা পুরোপুরি জলমগ্ন।










































































































































