উপনির্বাচন হলেও সামান্য কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া আজ, বুধবার সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজে ভোট চলছে রাজ্যের চার কেন্দ্রে। প্রচারের মতো ভোটের দিনও মাঠে ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। কোথাও কোনও সমস্যা দেখলেই ছুটে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। বুথে বুথে দৌড়তে দেখা যাচ্ছে প্রধান বিরোধী বিজেপি প্রার্থীদেরও। কিন্তু খাতায় কলমে প্রার্থী থাকলেও আজ ভোটের দিন কার্যত বেপাত্তা বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা (Left Congress Alliance)। প্রচার পর্বেও যেমন খুঁজে পাওয়া যায়নি বাম-কংগ্রেস প্রার্থীদের, একইভাবে ভোটের দিনও নিখোঁজ তাঁরা।
চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জন্য একটি আসন ছেড়ে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বামফ্রন্ট। তবে জোট হিসেবে তিনটি কেন্দ্রে লড়ছে বাম-কংগ্রেস (Left Congress Alliance) মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী রাজীব মজুমদারকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা উপনির্বাচনে জোট প্রার্থী সিপিএমের অরিন্দম বিশ্বাস। রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্তকে সমর্থন দিয়েছে বামেরা। তবে বাগদায় বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক গৌরাদিত্য বিশ্বাসকে প্রার্থী করলেও, সেখানে কংগ্রেস অশোক হালদারকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ফলে তিন আসনে ত্রিমুখী লড়াই হলেও, বাগদায় খাতায় কলমে চতুর্মুখী লড়াই।
তবে চারটি কেন্দ্রে নামমাত্র প্রার্থী দিয়েছে বাম-কংগ্রেস। ভোটের দিন প্রার্থীদের কোথাও কোনও অস্তিত্ব নেই। প্রার্থীদের বুথে বুথে দৌড়ঝাঁপ নেই। সুতরাং, লড়াই সীমাবদ্ধ সেই বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে। ফলে ১৩ জুলাই উপনির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার আগেই বলা যেতে পারে ময়দান ছেড়ে পালানো বাম-কংগ্রেস প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত শুধু সময়ের অপেক্ষা!
আরও পড়ুন: বাগদায় উত্তেজনা, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে