কখনও প্রকাশ্যে, কখনও আইনের মাধ্যমে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একদিকে বিরল অচলাবস্থার মধ্যে ফেলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে মামলার দিকে ঠেলে দিয়ে রাজ্যের নাম কলঙ্কিত করেছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যপালের দম্ভচূর্ণ হওয়ায় গণতন্ত্রের জয় দেখছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, আবারও গণতন্ত্রের জয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রাত্য লেখেন, “উপাচার্য নিয়োগ করতে রাজ্যের রাজ্যপাল না, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত রাজ্যের সরকার, কে সাংবিধানিকভাবে সঠিক সেই বিবাদকে আজকের রায়ে তুলে ধরেছেন মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট। আজকের রায়ে, মহামান্য বিচারপতির বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে একটি সার্চ তথা সিলেক্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, যাঁরা প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনজনের প্যানেল বর্ণ ক্রমানুসারে তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন।”

তবে সর্বোচ্চ আদালত রাজ্যপালের দীর্ঘ হঠকারিতার পরে রাজ্যের হাতেই যে উপাচার্য নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ দিয়েছে তাও উল্লেখ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি লেখেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজের মনোনিত ব্যক্তিকে সেই তালিকা থেকে বেছে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন, যেখানে যদি কারো সম্বন্ধে তাঁর কোনও মতামত থাকে, সেই মন্তব্যও উল্লেখ থাকবে। এরপরই রাজ্যপাল সেই উপাচার্যকে নিয়োগ করবেন।” সুপ্রিম নির্দেশে একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অচলাবস্থা কাটল, অন্যদিকে মুখ পুড়ল রাজ্যপালের।
— Bratya Basu (@basu_bratya) July 8, 2024










































































































































