প্রতিদিন যেন উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্য বিহারের বাসিন্দাদের। কোন সেতুতে উঠলে সেটা ভেঙে পড়বে, আর কোনটা টিকে থাকবে, যেন প্রতিযোগিতা বিহারের সেতুগুলির মধ্যে। শুক্রবার আরও একটি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নয়দিনে মোট পাঁচটি সেতু ভেঙে পড়ল নীতীশের বিহারে। যদিও এরপরেও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি জেডিইউ বা তাদের সহযোগী বিজেপির তরফ থেকে। বিরোধী শাসিত রাজ্যে ছোট কোনও দুর্ঘটনায় যাবতীয় অস্ত্র শানিয়ে ধেয়ে আসা নরেন্দ্র মোদিও নীরব পাঁচটি সেতু ভাঙার ঘটনায়।

মধুবনি জেলার ঝঞ্ঝারপুরে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অধীনে ৭৭ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু তৈরি হচ্ছিল। ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়া সেতুটি ২০২১ সালে তৈরি শুরু হলেও এখনও তার কাজ চলছিল। তার মধ্যেই শুক্রবার তার একটি ২৫ মিটার উঁচু পিলার ভেঙে ব্রিজটি কোশি নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি এই সেতু আগেও একবার ভেঙেছিল। সেটি মেরামতি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই আবার ভেঙে পড়েছে সেতুটি।

কোশি নদীর উপর বারবার সেতু ভাঙার ঘটনায় কী ধরনের গাফিলতি তা পরিণতিতে বোঝা গেলেও বিহার গ্রামোন্নয়ন বিভাগের তরফ থেকে প্রতিকারের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। এমনকি বৃহস্পতিবার কিশানগঞ্জ, ২৩ জুন পূর্ব চম্পারণ, ২২ জুন গণ্ডক খাল এবং ১৯ জুন আরারিয়ায় সেতু ভাঙার ঘটনাতেও বিহার সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা দেখা যায়নি।

শুক্রবারের ঘটনায় যদিও সেতু নির্মাণের দায়িত্বে থাকা প্রোমোটার মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, কোশি নদীর জল আচমকা বেড়ে যাওয়ায় নতুন তৈরি হওয়া গার্ডারটি ভেঙে যায়। এরপর জলস্তর না নামলে মেরামতির কাজও শুরু হবে না বলে তিনি জানান।









































































































































