স্কুলে (School) নিয়ম ছিল না ফোন ব্যবহারের। তবে লুকিয়ে লুকিয়ে তা করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়তেই শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এরপরই সেই শাস্তির জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল এক ছাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, গলায় ফাঁস দিয়ে ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে। অরুনাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) আনজাও জেলার আমলিয়াং এলাকার একটি স্কুলের কাছে আচমকা এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত কিশোরের নাম চিরাং ক্রি (১৫)। অরুনাচল প্রদেশের একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল চিরাং।


পুলিশ সূত্রে খবর, অরুনাচল প্রদেশের সেই স্কুলের হস্টেলে থাকত পড়ুয়া। স্কুল চত্বরে ফোন ব্যবহার করার নিয়ম ছিল না জেনেও নিজের কাছে ফোন রাখত চিরাং। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কিশোর সেই শাস্তি একেবারেই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। ভুল স্বীকার করে সেই স্কুলেই পড়াশোনা করতে চেয়ে শত অনুরোধেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। তবে এরপর গত রবিবার চিরাং এবং তার বাবার সঙ্গে কথা বলে তাকে ফের স্কুলে লেখাপড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।


কিন্তু আচমকাই রবিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় চিরাং। এরপর থানায় পরিবারের তরফে সোমবার খবর দেওয়া হলে স্কুলের কাছেই লোহিত নদীর ধারে একটি গাছ থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তার জামার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে পুলিশ। সেই নোটে স্কুলে ফোন ব্যবহার করার জন্য দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি সুইসাইড নোটে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছে চিরাং। তবে কিশোরের অকালমৃত্যুতে স্কুলে শোকের ছায়া। চিরাংয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, “কেন এমন পদক্ষেপ নিল বুঝতে পারছি না। ওকে তো স্কুলে পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’’










































































































































