সোমবার থেকেই শুরু হল অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। আর শুরুর দিনেই বিরোধীদের লাগাতার চাপে রীতিমতো ব্যাকফুটে মোদি সরকার (Modi Govt)। এদিন সকালে অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদ ভবনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে এদিন তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকেই যেন বিজেপির দোষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, তেমনি সরকারের লাগাতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি। এদিন মোদি মনে করিয়ে দেন, তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। তবে এদিন মোদি বলেন, সকলের মত নিয়ে সরকার পরিচালনার কথা। কিন্তু মোদি সরকারের গাজোয়ারিতে সেটা রীতিমতো অসম্ভব বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। তবে প্রথম দিনেই মোদির ভাষণে স্পষ্ট ঘরে ও বাইরে ঠিক কতখানি চাপে বিজেপি। এদিন অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদের বাইরেই ১৪ মিনিট ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। যা এক প্রকার বেনজির। এমনটা আগে হয়নি।



তবে এদিনের ভাষণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলের কংগ্রেস সরকারকেও আক্রমণ করে মোদি বলেন, ৫০ বছর আগে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সেটা দেশের অন্ধকার অধ্যায়। গণতন্ত্রের উপর কালো দাগ। আর কখনও সেই আঁধার নেমে আসবে না এই দেশে। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত বিরোধীরা আমাকে হতাশ করেছে। তবে আশা করছি, সংসদে তারা সুষ্ঠু ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। মানুষ স্লোগান নয়, কাজ চায়।

তবে মোদি মুখে যাই বলুন কাজে তা যে বাস্তবায়নের পথ যে খুব মসৃন হবে না তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। এদিন অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই সংসদের বাইরে সংবিধান হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী জোটের সাংসদরা। মোদি সরকারের সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগের পাশাপাশি একাধিক ইস্যুতে সরব বিরোধীরা।










































































































































