বিজেপির অবজার্ভার দিয়ে গণনাকেন্দ্রে রিগিং, ‘আসন আটকে রাখা’ নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

0
2

জয়ের পরেও সংশাপত্র পাচ্ছেন না বিজেপি বিরোধী প্রার্থীরা। বাংলা থেকে গোটা দেশে নির্বাচন কমিশনকে এভাবে কাজে লাগানো নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটকে বিজেপির পক্ষে প্রভাবিত করতে পারবে, এমন অবজার্ভার নিয়োগ করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করা নিয়ে ফলাফল হাতে পেয়েই গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

নির্বাচনের শেষ পর্ব পর্যন্ত যতভাবে সম্ভব কেন্দ্রের ক্ষমতা প্রয়োগ করে জনগণের রায়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছি বিজেপি। ভোট গণনাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। কমিশনকে দিয়ে সেই জঘন্য রাজনীতির পর্দাফাঁস করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে জায়গা উল্লেখ করে তাঁর দাবি, “চার-পাঁচটা জায়গায় এখনও বিজেপি আমাদের জেতা আসনগুলিতেও শংসাপত্র দিচ্ছে না। কাঁথিতে জেতার পরও বিজেপির পর্যবেক্ষক আটকে রেখে দিয়েছে শংসাপত্র বিজেপিকে জয়ী ঘোষণা করার জন্য। এই ভাবে নরেন্দ্র মোদী আরও কয়েকটা বড় আসন আটকে রেখেছেন যেহেতু উনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।”

এই প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন নন্দীগ্রামে ইতিহাস। সালে যেভাবে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তৃণমূলকে অপদস্থ করা হয়েছিল সেই ঘটনা টেনে এনে তিনি দাবি করেন, “আরও কয়েকটি আসন আমাদের পাওয়ার কথা ছিল। দরকার হলে কিছু আসনে পুনর্গণনাও হবে। তমলুকে আপনারা দেখেছেন, ওটা ভোট নয়। নন্দীগ্রামে আমার সঙ্গে যা করেছিল, ওখানেও তেমন রিগ করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভিভিপ্যাট কাউন্টিং হলে দেখা যাব ওটাতেও হেরেছে।”

কমিশনের অপদার্থতা নিয়ে এই নির্বাচনে বারবার সরব হতে হয়েছে বিরোধীদের। সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছে বিরোধীরা। তারপরেও গণনায় বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কমিশন ঠিক কীভাবে কাজ করেছে তা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “কাঁথির আসন আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকেরা রাজনীতি করেছে। বিজেপি অবজার্ভার দেখে দেখে এ রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যপুলিশকে কাজেই লাগানো হয়নি। সবচেয়ে অত্যাচার বাংলার উপরে হয়েছে। এক দিকে, ইডি-সিবিআইয়ের অত্যাচার। একদিকে আয়কর বিভাগের অত্যাচার, বিজেপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অত্যাচার, হয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। কিন্তু বিজেপি শংসাপত্র আটকে রেখে এখনও রাজনীতি করছে।”

তবে বিজেপির এই স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ যে আর দেশে চলবে না তা মানুষের রায়েই প্রমাণিত। ভারতবর্ষের মানুষকে মমতা ধন্যবাদ জানান, তাঁরা বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসাবে না নিয়ে আসার জন্য। সেই সঙ্গে অনেক কেন্দ্রে পুনর্গণনার দাবি জানানোর কথাও তিনি জানান।