ভোটগণনার আগেই মিষ্টির দোকানে ‘প্রতীকী লড়াই’, সহাবস্থান বাম-বিজেপি-কংগ্রেস-তৃণমূলের

0
3

 

রাতপোহালেই শুরু ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। কিন্তু তার আগেই মিষ্টির দোকানে প্রতীকের (Symbol) লড়াই শুরু। মঙ্গলবার ফল ঘোষণা। কার ভাগ্যে শিকে ছেড়ে তা নিয়ে চলছে জোরদার হিসেবনিকেশ-জল্পনা। এই আবহে রাজনৈতিক মিষ্টির পসরা সাজিয়ে নিয়ে বসেছেন বিভিন্ন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। কলকাতা থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনা-সহ বিভিন্ন জেলায় দোকানে সাজানো  চারটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতীকের ছাপে মিষ্টি।

আর কয়েকদিন পরেই জামাই ষষ্ঠী। তার আগেই এবার ভোটের মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে। কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ-এর একটি দোকানে আবার চকোলেট সন্দেশের উপর করা হয়েছে জোড়াফুলের প্রতীক। বাকি বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস-সব দলের প্রতীকের (Symbol) মিষ্টি (Sweet) হয়েছে সাদা-চকোলেট সন্দেশ মিলিয়ে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন ফল বেরনোর পর যে কোনও ব্যক্তি অর্ডার দিল আধঘণ্টার মধ্যে পছন্দের প্রতীকের মিষ্টি বানিয়ে দিতে পারবেন।অশোকনগর স্টেশন রোডের ব্লিডিং মোড়ের একটি প্রতিষ্ঠিত দোকানে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস-সব দলের প্রতীকের মিষ্টি। দোকানের মালিক কমল সাহা বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তির মূর্তি করে করেছেন মিষ্টি দিয়ে। বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি দিয়ে মিষ্টি করেছিলেন। লোকসভা ভোটে ক্ষীর আর ছানা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতীকের মিষ্টি বানিয়েছেন। রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জোড়া ঘাস ফুল, কংগ্রেস-এর হাত, সিপিআইএম-এর কাস্তে-হাতুড়ি-তারা ও বিজেপির পদ্মফুলের প্রতীক। উপকরণ হিসাবে মিষ্টিতে ব্যবহার করেছে রং, ক্ষীর, ছানা, চিনি। ভোটের রেজাল্টের আগেই দোকানে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক কর্মীরা- জানান কমল সাহা।তৃণমূল (TMC) থেকে বিজেপি (BJP), বাম (Left) থেকে কংগ্রেস (Congress) সব দলেরই প্রতীক দেওয়া সন্দেশ তৈরি করেছে পান্ডুয়ার এক মিষ্টির দোকান। ফল ঘোষণার আগেই মিষ্টি প্রেমীদের রাজনৈতিক উন্মাদনা তুঙ্গে।

বাঁকুড়া শহরেও সহাবস্থান পদ্ম-ঘাসফুল-কাস্তে হাতুড়ির। জুনবেদিয়ার একটি মিষ্টির দোকানে পাশাপাশি সাজানো পদ্মের প্রতীক, জোড়া ফুল, কাস্তে-হাতুড়ি সন্দেশ।