তোলা দিতে অস্বীকার করায় মুম্বইয়ের (Mumbai) হোটেল ব্যবসায়ী জয়া শেট্টিকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। রীতিমতো শার্প শুটার পাঠিয়ে খুন করা হয় জয়াকে। ২০০১ সালে খুনের সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজিকে ওরফে গ্যাংস্টার ছোটা রাজনকে (Chota Rajan) দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা শোনাল আদালত। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজ়ড ক্রাইম অ্যাক্ট আদালতের বিচারক এএম পাটিল ছোটা রাজনকে আবার একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Lifetime Imprisonment) সাজা ঘোষণা করল। বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি গ্যাংস্টার।


২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ডন দাউদ ইব্রাহিমের প্রাক্তন সঙ্গী ছোটা রাজনকে। প্রত্যর্পণের মাধ্যমে তাঁকে হাতে পেয়েছিল ভারত। সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হয় তাঁর। এক সময় ছোটা রাজন মোস্ট ওয়ান্টেড আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সবচেয়ে কাছের বলে মনে করা হত। প্রায় দু দশকেরও বেশি সময় পুলিশের চোখে ফাঁকি দেয় রাজন। ১৯৯৩ সালের বোমা বিস্ফোরণের পর দাউদের থেকে আলাদা হয়ে যায় ছোটা রাজন। শুরু হয় দুজনের মধ্যে চরম শত্রুতা। এই শত্রুতার কারণে মুম্বাই, দুবাইও নেপালে বহু মানুষকে খুন করা হয়।


এদিকে ছোটা রাজনকে ভারতে আনার পিছনে সিবিআই, ইন্টালিজেন্স ইউনিট এবং মুম্বই ক্রাইমব্রাঞ্চের বড় ভূমিকা ছিল। ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর সকলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি বিশেষ বিমানে বালি থেকে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে আনা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, টানা ১৫ বছর অস্ট্রেলিয়াতেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন রাজন।










































































































































