আশা কর্মীর চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ঘাটালে। সাংসদ দেবের আপ্ত সহায়ক রামপদ মান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফিরে পেলেন অভিযোগকারী গঙ্গেশ সাঁতরা । যদিও ওই পরিবারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন রামপদ মান্না।
দিন কয়েক আগে দেবের আপ্ত সহায়ক রামপদ মান্নার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে । সেই ঘটনায় ভোটের আগে তোলপাড় হয়েছিল ঘাটাল । গঙ্গেশ সাঁতরা নামে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, মেয়ের আশা কর্মীর চাকরি হবে বলে ঘাটালের সাংসদ দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্নাকে এজেন্ট মারফত ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন তিনি ।
গঙ্গেশের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিবাজার এলাকায় । তাঁর অভিযোগ ছিল, চাকরি তো হয়নি উলটে টাকা ফেরত চাইলে তা আজ দেবো কাল দেবো করে প্রায় বছর ধরে ঘুরিয়েছেন রামপদ । বরং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০২৪ এ সাংসদ হওয়ার পর দেবের অনুমতি নিয়ে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন ।
এরপর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যান ৷ কিন্তু অভিযোগ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁরা তাদের সমস্ত অভিযোগ নিয়ে ই-মেল মারফত পুলিশ সুপারকে জানান । সেই খবর প্রকাশ্য আসতেই শোরগোল পড়ে যায় ঘাটাল জুড়ে । যদিও সেই ঘটনায় ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, ঘটনার তদন্ত হবে এবং যে দোষী হবে সে শাস্তি পাবে । ওই ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় টাকা ফিরে পেল সাঁতরা পরিবার ।
যদিও এই ঘটনায় দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, ‘‘এই ঘটনা সম্পর্কে সেদিনও আমি বলেছি আমি কিছুই জানি না ৷ আজও বলছি আমি কিছুই জানি না । ওই ব্যক্তি কেন আমার নামে অভিযোগ করছেন ? তাঁকে আমি চিনিও না ।’’