কাঁথিতে রোড শো করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার নামে কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। তার পর তিনি জুনপুট মোড়ে গিয়ে মিছিলে যোগ দেন। দুপুর ৩টে থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক মমতার রোড-শো হয়। পোস্ট অফিস মোড় থেকে চৌরঙ্গি হয়ে রূপশ্রী বাইপাসের দিকে মিছিলে পা মেলান হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। সেখান থেকে মেচেদা বাইপাস ধরে দিঘাগামী সড়কে কিছুটা এগিয়ে মিছিল শেষ হয়। কাঁথি শহরে প্রথম বার রোড-শোয়ে যোগ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শহরের প্রধান রাস্তা জুড়ে তাঁর মিছিলে ছিল জনস্রোত। মুখ্যমন্ত্রীর এই মিছিলে হাজির ছিলেন ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং একটি পুরসভার সমস্ত স্তরের মানুষ।
এবার কাঁথি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন পটাশপুরের বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। তাঁর সমর্থনে আজ, মিছিলে পা মেলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা যেতে পারে মমতা-ম্যাজিকে ভাসল কাঁথি। বৃহস্পতিবারের রোড শোতে কার্যত জনসমুদ্রের চেহারা নেয় কাঁথি। মিছিল যত এগিয়েছে কাতারে কাতারে মানুষ যোগ দিতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তৃণমূল সভানেত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী উত্তম বারিক সহ তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা-নেত্রীরা। রোড শোয়ের মাঝে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়তে হয় মমতাকে। কখনও রাস্তার দুধারে দাঁড়ানো উৎসাহী জনতার সঙ্গে হাত মেলান। কখনও আবার কথা বলেন মহিলাদের সঙ্গে। দলের কোনও কোনও কর্মী-সমর্থক এসে তৃণমূল সুপ্রিমোর হাতে তুলে দেন ফুলের স্তবক।
প্রবল গরমকে উপেক্ষা করে অগণিত জনতা অনুসরণ করেন তৃণমূল সভানেত্রীকে। বিভিন্ন ধর্ম ও ভাষাভাষির মানুষ পায়ে পায়ে এগিয়ে চলেন মমতার সঙ্গে। কারও হাতে দলীয় পতাকা। কারও হাতে ‘উই লাভ দিদি’ লেখা শো পিস। উৎসাহী সমর্থকদের হাত থেকে স্বামী বিবেকানন্দের ছবিও উপহার নেন মমতা।
মমতার রোড শো উপলক্ষে কাঁথিতে ছিল কড়া নিরাপত্তা। প্রার্থী উত্তম বারিক এক দিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অন্য দিকে, পটাশপুরের বিধায়কও।এবারের লোকসভা ভোটে কাঁথিতে সেই উত্তমকেই লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে উত্তমের কাঁধে ‘গুরু দায়িত্ব’ তুলে দিয়েছেন তিনি।









































































































































