দাবানল নিয়ন্ত্রণে অনেক প্রস্তাব হয়েছে। কোনও পদক্ষেপ সম্পূর্ণ নেওয়া হয়নি। এমনকি ভোটের কাজে পাঠিয়ে দেওয়া বনকর্মীদের এখনও দাবানল নিয়ন্ত্রণের কাজে পাঠানো হয়নি। এক কথায় উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের এই দাবানল নিয়ন্ত্রণের ‘উদাসীনতা’ তীব্র ভর্ৎসনা শীর্ষ আদালতে। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ১৭ মে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করল বিচারপতি বি আর গভাই, বিচারপতি এস ভি এন ভাট্টি ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ।


এপ্রিল মাসের শেষের দিকে লাগা আগুন এখন হিমালয়ের কোলের রাজ্য উত্তরাখণ্ডের ৪৫ শতাংশ গ্রাস করে ফেলেছে। ভারতীয় সেনা চপার থেকে প্রায় ৪,৫০০ লিটার জল ইতিমধ্যেই ঢেলে ফেলেছে দাবানল থামাতে। সম্প্রতি আলমোড়ায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে অনেকটা আগুন নিভেছে। তবে অভিযোগ, বনকর্মী ও আধিকারিকদের অভাবে আগুন নেভানোর কাজে নামা কর্মীদের অনেক সময়ই উপযুক্ত সরঞ্জাম ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। সবথেকে বড় অভিযোগ, এই দাবানল থামাতে ৯ কোটি টাকা প্রয়োজনীতা পেশ করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ৩.১৫ কোটি টাকা ছাড়া হয়েছে।

বুধবার কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে উত্তরাখণ্ড সরকারপক্ষের আইনজীবী আর নির্বাচনের কাজে বন আধিকারিকদের নিয়োগ করার মুখ্যসচিবের নির্দেশের কথা জানালেও তাতে আমল দেননি বিচারপতি। তাঁদের প্রশ্ন কেন এতদিনেও আগুন নিয়ন্ত্রণের বদলে বেড়ে গিয়েছে। ‘দুঃখজনক পরিস্থিতি’ দাবি করেন উত্তরাখণ্ড মুখ্যসচিবকে তলব করা হয় সুপ্রিম কোর্টে।










































































































































