রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব বা সম্ভব নয়, সেই বিতর্ক সরিয়ে এখন সত্যান্বেষী ব্যোমকেশের ভূমিকায় কলকাতা পুলিশ। রাজভবন থেকে খোদ রাজ্যপালের তদারকিতে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশে বাধা দেওয়া হলেও পূর্ত দফতরের থেকে সেই ফুটেজ সংগ্রহ করেছে লালবাজার। তারপরেও ফুটেজ দেখে তিনজনকে চিহ্নিত করে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে রাজ্যপালের কড়া নোটিশ জারির পরে আদৌ সেই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাওয়া সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। অন্যদিকে ফুটেজে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয়ও জানতে চাওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।

ইতিমধ্যেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ থাকার পরেও রাজভবনের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যা আবার রাজ্য সরকারকে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনের তরফে। যদিও সেই ভিডিও ফুটেজ থেকে অভিযোগের তদন্তে কোনও সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব নয় বলেও দাবি কলকাতা পুলিশের। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি রাজ্যপালের ‘নাটক’ বলেও দাবি করেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে রাজভবনের একতলার ২ মে-র সিসিটিভি ফুটেজ এসে পৌঁছেছে।

সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযোগকারিনী রাজভবনের সচিবের ঘরে যান। তিনি অভিযোগের বয়ানেও সে কথা বলেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ফুটেজে দেখা যাওয়া সচিব, একজন চিকিৎসক ও একজন কর্মচারীকে তলব করা হয় লালবাজারের তরফে। যদিও তাঁরা সেই তলবে সাড়া দেননি বলেই দাবি কলকাতা পুলিশের।


সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যে ব্যক্তিদের চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুলিশ। তাদের ছবিও পাঠানো হয়েছে রাজভবনে। জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁদের পরিচয়। এখন অপেক্ষা রাজভবন আদৌ পরিচয় প্রকাশে কলকাতা পুলিশকে সহযোগিতা করে কি না।








































































































































