রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় সব বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিন জেলায় শুধুমাত্র স্পর্শকাতর বুথগুলিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে বসেন কমিশন কর্তারা। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়ার পিছনে বাহিনীর সংখ্যার অপ্রতুলতাকেই দায়ী করা হয়েছে।

পায়ের তলায় মাটি নেই বিজেপির। সেটা বুঝতে পেরেই বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার করছে। ফলে বিজেপির নির্দেশে চলার অভিযোগ রয়েছে যে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বিরুদ্ধে, তারা আরও বাহিনী পাঠাচ্ছে রাজ্যে। প্রথম দফার ভোটের জন্য ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) আসছে রাজ্যে। শনিবার এই কথা জানালেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব (Ariz Aftab)।
বাংলায় ভোটের জন্য ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (Central Force)। ইতিমধ্যে রাজ্য়ে ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। প্রথম পর্বে ১৯ এপ্রিল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোটগ্রহণ। তিন জেলায় মোট ৫ হাজার ৪০০ বুথে যথাক্রমে ১৭, ৯ ও ১১ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। রাজ্যজুড়ে রয়েছে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী। ফলে আদৌ সব বুথে বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানালেন, বুধবারের মধ্যে আরও ১০০ কোম্পানি বাহিনী আসছে রাজ্যে। যাদের প্রথম দফার ভোটে ব্যবহার করা হবে। তবে প্রথম দফার নির্বাচনে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্ভব হবে না বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারে ৬৫ শতাংশ বুথে, আলিপুরদুয়ারে ৫৬ শতাংশ বুথে এবং জলপাইগুড়িতে ৭২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে গেলে আরও বাহিনী প্রয়োজন। পয়লা বৈশাখের আগে বা পরে আরও ১৫০ কোম্পানি বাহিনী আসতে পারে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনও কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তাই প্রথম দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশকেও ভোটের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাতসকালে বিজাপুরের জঙ্গলে হানা! ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনীর গুলিতে ফের খতম ৩ মাওবাদী
তবে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা আরো সুনিশ্চিত করতে এবার প্রতিটি বুথের ভিতর ওয়েব কাস্টিং করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এর ফলে বুথের নিরাপত্তা ও প্রতিমুহূর্তের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে পারবে কমিশন।









































































































































