নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতেই মনিটারি পলিসি কমিটি (RBI MPC Meet) বৈঠকে রেপো রেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। ৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া দুদিনের বৈঠকে রেপোরেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেভাবে EMI -এর চাপে নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের তাতে ভোটের আগে অন্তত ব্যাঙ্ক ঋণের সুদ কমানো হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পথে হাটলো না দেশের শীর্ষ ব্যাংক। যদিও রেপো রেট পরিবর্তন হয়নি কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের খুব একটা সুবিধা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (RBI Governor Shaktikanta Das) জানিয়েছেন এই নিয়ে সাত বার অপরিবর্তিত রইলো রেপো রেট। ২০২২ সালে রেট লাগাতার বাড়ার ফলে সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়ী থেকে ঋণগ্রহীতা সাধারণ মানুষ, সকলকেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে গিয়ে সেই সাধারণ মানুষের উপরেই আর্থিক চাপ বাড়ছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষ গাড়ি বা বাড়ি কেনার জন্য যে ব্যাংক লোন নিতেন সেখানে সুদের হার ক্রমাগত উর্ধ্বমুখী হচ্ছিল। ২০২৩ সাল থেকে অবশ্য তাতে কিছুটা লাগাম টানা হয়েছে। মনিটারি পলিসি কমিটির তরফে পর্যালোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরবিআই গভর্নর। অর্থাৎ ২০২৪ ২৫ অর্থবর্ষে ইএমআই এর হিসেবে খুব একটা বড় পরিবর্তন আসছে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যে সুদের হারে দেশের অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাকে রেপো রেট বলা হয়। এখানে যদি আরবিআই সুদের পরিবর্তন করে, সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলি ইএমআই- এর ক্ষেত্রে সেভাবেই পার্সেন্টেজ নির্ধারণ করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই নীতি মধ্যবিত্তের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, দেশের বৃদ্ধির হার সব পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এমনকী মুদ্রাস্ফীতির হারেও ব্যাপক স্বস্তি মিলেছে। সম্ভবত সে কারণেই রেট পরিবর্তন করে বাজারের ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে চায় না আরবিআই। কিন্তু এরপরেও প্রশ্ন, আমজনতাকে স্বস্তি দিতে ব্যাংকের সুদের হার কি কমানো যেত না? নিরুত্তর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।








































































































































