জাতীয় নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পরেই কার্যত ভোটের তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বুধবার জারি হয়ে গেল প্রথম দফার মনোনয়ন পেশের বিজ্ঞপ্তি। এই দফায় বাংলারও তিন কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। অথচ রাজ্যের শাসকদল বিরোধীরা এখনও তিনটি কেন্দ্রে প্রার্থীই দিতে পারেনি। ২০২৪ নির্বাচনের আগে গোটা দেশকে ২০৪৭-এর গাল ভরা কথা শোনানো বিজেপিও এখনও সব কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারল না।

প্রথম দফার নির্বাচন ১৯ এপ্রিল। দেশের ২১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে নির্বাচন প্রথম দফায়। সেই নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি বুধবার জারি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার থেকেই গোটা দেশে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দফার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ২৭ মার্চ। স্ক্রুটিনি ২৮ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ৩০ মার্চ। একমাত্র বিহারে উৎসবের কারণে ২৮ মার্চ পর্যন্ত মনোয়ন জমা দেওয়া যাবে। প্রত্যাহারের শেষদিন ২ এপ্রিল। ১৯ এপ্রিল ভোট হবে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, বিজ্ঞপ্তিতে জানালো কমিশন।

এই দফায় বাংলার তিন কেন্দ্র – কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে নির্বাচন। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ১০ মার্চ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে একসঙ্গে ৪২ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে ঘটা করে ২ মার্চ বিজেপি গোটা দেশে প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় বাংলার ২০টি আসনের প্রার্থীর নাম ছিল। অথচ তারপরে ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও বাংলার বাকি ২২ আসনের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করে উঠতে পারেনি বিজেপি। এমনকি প্রথম দফায় ভোট হতে চলা কেন্দ্রের মধ্যেও জলপাইগুড়ি আসনে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। অন্যদিকে বামেরা তাদের প্রার্থী তালিকায় কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি আসনের জন্য প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। এই আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রাখলেও কংগ্রেস বাংলায় এখনও একটি আসনেও প্রার্থী দেয়নি।






































































































































