CAA লাগু হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এই বিষয় নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, হাবড়ার মঞ্চ থেকে হুঙ্কার দিয়ে মমতা বলেন, “নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এটা আদৌ বৈধ কি না সন্দেহ আছে! কোনও ক্ল্যারিটি নেই। টোটাল ভাঁওতা।“

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “২০১৯ সালে করেছিল অসমে। ১৯ লক্ষ লোকের মধ্যে ১৩ লক্ষ লোককে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা বাঙালি-হিন্দু। অনেকে দুঃখে আত্মহত্যা করেছিল।“ সবাইকে সতর্ক করে মমতা বলেন, “দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন। নাগরিক থাকা সত্ত্বেও আপনারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন। এখানে আপনাদের সম্পত্তি, চাকরি, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বেআইনি ঘোষণা হয়ে যাবে।“
বিজেপিতে তুলোধনা করে মমতা বলেন, “নির্বাচনের আগে প্রতারণা, ছলনা, বঞ্চনা, নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি। যে CAA-র কথা কেন্দ্রের সরকার ঘোষণা করেছে, আদৌ তা বৈধ কি না সন্দেহ আছে। পুরোপুরি ভাঁওতা। ২০১৯ সালে অসমে ১৩ লক্ষ বাঙালি হিন্দুকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। অনেকে আত্মহত্য করেন।“
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মনে রাখবেন সব হারাবেন। ওরা ভাঁওতা দিচ্ছে। সব দিক যাবে। ইচ্ছা করে কালকের দিনটা বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ কাল থেকে রমজান শুরু হয়েছে। এই সিএএ, এনআরসির সঙ্গে যুক্ত মনে রাখবেন। শুধুমাত্র আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আনা হবে। শ্রীলঙ্কা, মায়নমার বাদ। এমন অনেক পরিবার রয়েছেন, যাঁদের এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় বিয়ে হয়েছে। তাঁরা যোগাযোগ করতে পারবেন না। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব কখনও কেউ শুনেছেন?“
মুখ্যমন্ত্রী সর্তক করেন, “আবেদন করার পর এনআরসি করা হবে। ডিটেনশেন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি বাংলা থেকে তা করতে দেব না।“ তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বাংলা থেকে কাউকে তাড়াতে দেবেন না তিনি। কারও অধিকার কাড়তে গেলে তীব্র প্রতিবাদ করবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।










































































































































