‘জনগর্জন’ সভা থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথমবার কলকাতার কোনও মেগা সভা থেকে সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ঘোষণটা করে দেওয়া হল আনুষ্ঠানিকভাবে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার আগেই। আর সেই প্রার্থীতালিকায় একাধিক চমক থাকল। সবথেকে বড় চমক অবশ্যই ইউসুফ পাঠান। তাঁকে বহরমপুর থেকে দাঁড় করানো হয়েছে। তাছাড়া রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাংশু ভট্টাচার্যদের প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলের তুরুপের তাস তরতাজা ১০ প্রার্থী। এঁরা সকলেই ভোট ময়দানে প্রথমবার লড়ছেন। কেউ আবার দিল্লির লড়াইয়ে নবাগত। উল্লেখযোগ্য আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সদ্যই সময়ের আগে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। রায়গঞ্জ রেঞ্জের আইজি ছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতে তাঁর অবাধ বিচরণ। নিজের নাট্যদল রয়েছে। তাঁকে মালদহ উত্তর থেকে প্রার্থী করল তৃণমূল। মালদহ দক্ষিণেও ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী নবাগত।এই কেন্দ্র থেকে লড়বেন শাহনাজ আলি রহমান।
দার্জিলিংয়ে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন আমলা গোপাল লামা। তিনি সেখানকার মহকুমাশাসক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। পাহাড়ের রাজনৈতিক দল এবং জনগণের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে তার। দার্জিলিংয়ে গোপাল লামা জিতলে এই প্রথম পাহাড় আসবে ঘাসফুলের দখলে। অন্যতম চমক অবশ্যই যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। একুশের লড়াইয়ের ‘খেলা হবে’ গান বেঁধে তিনি প্রচারের আলোয় চলে এসেছিলেন। সেই দেবাংশুকে আগেই রাজ্য সংগঠনের আইটি সেলের দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশুর ঝাঁজালো বক্তব্য সামলানো অনেক সময়ই বিজেপির পক্ষে কঠিন হয়েছে। তমলুকে দেবাংশুর মতো তরুণ নেতা যে লড়াইয়ে ভালো বেগ দেবেন, তা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তমলুকের পাশের কেন্দ্র কাঁথিতেও নতুন প্রার্থী তৃণমূলের। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক প্রার্থী।
বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সুজাতা খাঁ। বিজেপি থেকে দলবদল করে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সুজাতাকে আরামবাগ থেকে প্রার্থী করেছিল দল। সেখানে ভালো লড়াই করেও জিততে পারেননি তিনি। আরেক প্রার্থী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সংগঠন থেকে উঠে আসা বাপি হালদার। ইনিও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তাঁকে মথুরাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে তৃণমূল।বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন চমকপ্রদ। বিশিষ্ট মনোবিদ ডাক্তার শর্মিলা সরকার এই কেন্দ্র থেকে লড়বেন লোকসভা ভোটে।
ঝাড়গ্রামে ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্ত সাঁওতালি সাহিত্যিক কালীপদ সোরেন। তিনি ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা। সাঁওতালি সাহিত্য জগৎ তাঁকে ‘খেরওয়াল সোরেন’ নামে চেনে। তিনিই এবার আদিবাসী এলাকা ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের বাজি।



 
 
 
 





 


























































































































