তৃণমূল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড শাহজাহান, শুভেন্দুকে বহিষ্কার করুক বিজেপি: ব্রাত্য

0
2

অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই দল থেকে শেখ শাহজাহানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার, তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক একথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষদস্তিদার ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একই সঙ্গে তৃণমূলের তরফে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানানো হয়, এবার শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করে দেখাক বিজেপি।

তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, শুক্রবার রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে আসবেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ডও করবে না বিজেপি। এখানেই তৃণমূলের সঙ্গে তফাৎ পদ্মশিবিরের। শুধু দল থেকে সাসপেন্ডই নয়, শাহজাহানকে সরকারি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্রাত্যর কথায়, কোনও ভাবেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না দল। সেই কারণে অভিযুক্ত হলে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এই দৃষ্টান্ত দেখাতে পারে না গেরুয়া শিবির- তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের।

ব্রাত্য বলেন, “দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তৃণমূল যে পদক্ষেপ করে, এটাই তার প্রমাণ। যদিও তৃণমূলের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল আগেও এ কাজ করেছে। কিন্তু বিজেপি তো আর তৃণমূল নয়! আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা নারায়ণ রাণেকে সাসপেন্ড করে দেখান উনি। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী, ব্রিজ ভূষণ বা অজয় মিশ্র টেনির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?”

দুর্নীতি ইস্যুতে বার বার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথাই জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) দলের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়েছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল যে বিন্দুমাত্র কাউকে রেয়াত করবে না সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে এনেছিল এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও দল ব্যবস্থা নিয়েছে। তা হলে শাহজাহানকে গ্রেফতার না করার কী আছে?” এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশই বাধা সেটা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন অভিষেক। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় শেখ শাহজাহানকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়ে জানায়, শাহজাহানে গ্রেফতারে আর কোনও বাধা নেই। এরপর থেকেই শাহজাহানে গ্রেফতার ছিল সময়ের অপেক্ষা। বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল।