ফের ট্রেন দুর্ঘটনা। ঝাড়খণ্ডের জামতারা-কারমাতান্ডের কালঝরিয়ার কাছে ট্রেন দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃ্ত্যু। আহত বহু। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছছেন রেল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, ডাউন লাইনে বেঙ্গালুরু-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস যাচ্ছিল। লাইনের পাশে থাকা ব্যালাস্ট থেকে ধুলো ওড়ে। ট্রেনে হয়তো আগুন লেগেছে বলে ভ্রম হয় চালকের। তিনি ট্রেন থামান। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়তেই আগুন আতঙ্কে বেশ কয়েকজন যাত্রী তাড়াহুড়ো করে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। পাশের রেল লাইনের উপরেও চলে যান বেশ কয়েকজন। উল্টোদিকের লাইনেই লাফ দিয়ে নেমে পড়েন অনেকে। প্রায় ১৫০ যাত্রী পাশের লাইনে ঝাঁপ দেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সময় উলটো দিক থেকে আসা আসানসোলগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন বহু যাত্রী।

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে এলাকায় আলো না থাকার কারণে সেই কাজেও বাধা পাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। যারা গুরুতর আহত তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে।
যদিও এই প্রসঙ্গে ইস্টার্ন রেলওয়ের CPRO কৌশিক মিত্রের বক্তব্য, “লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে ট্রেন চাপা দেয়। অগ্নিকাণ্ডের কোনও বিষয় নেই। এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্য়ুর খবর মিলেছে। তাঁরা কেউ যাত্রী নন। হেঁটে আসছিলেন লাইনের উপর দিয়ে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
আরও পড়ুন- জমজমাট জামনগর, আম্বানিদের অনুষ্ঠানে অতিথি সমাগম শুরু
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৯২ জন যাত্রীর। আহত হন হাজারেরও বেশি। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সিগন্যাল আপ মেইন লাইনের দিকে থাকলেও পয়েন্ট লুপ লাইনের দিকে ঘোরানো ছিল। ফলে ওই লুপ লাইনে ঢুকেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। এরপর ডাউন লাইনে আসা যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। গত বছরের সেই ভয়াবহ স্মৃতি কেটে ওঠার আগেই ফের রেল দুর্ঘটনা!





































































































































