সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে এবার গণধর্ষণের ধারা যোগ করল পুলিশ। সন্দেশখালির এক মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতেই ওই ধারা যোগ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।অভিযুক্ত শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা যোগ করা হয়। পাশাপাশি খুনের চেষ্টার ধারাও যোগ করা হয়। উত্তম সরদার আগেই গ্রেফতার হয়েছিল। শনিবার সন্ধ্যায় শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত ২ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা যোগ নিয়ে বিরোধীরা লাফালাফি শুরু করেছে। বিরোধীরা বলছে, আন্দোলনের চাপে পড়ে পুলিশকে শেষপর্যন্ত সঠিক অভিযোগটা সামনে আনতে হল।
বিরোধীদের জবাব দিতে দেরি করেননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, পুলিশ রাজধর্ম পালন করছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ধারা যোগ করেছে। কিন্তু এতে প্রমাণ হয় না মহিলাদের উপর লাগাতার গণধর্ষণ হয়েছে। এবং চাপে পড়ে পুলিশ ধারা যোগ করেছে।

কুণালের কথায়, “সন্দেশখালিতে যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে অর্থাৎ জমিজমা, টাকা না দেওয়া সংক্রান্ত, সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু নারী নির্যাতন নিয়ে কুৎসা চলছে। এতদিন সিপিএম, বিজেপি কেন অভিযোগ করল না। লাগাতার গণধর্ষনের ঘটনা বলে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। পুলিশ এখন গণধর্ষনের ধারা যোগ করেছে মানেই, চিৎকার করে বলতে হবে ধারা সত্য, চাপের মুখে করেছে, এসব ছেলে মানুষি। ধারা যোগ মানেই সেই ঘটনা ঘটেছে, তেমনটা নয়, ঘটনা প্রমাণ করতে হবে। পুলিশ রাজধর্ম পালন করেছে।”
আরও পড়ুন- হিটলারি মানসিকতা, এজেন্সিরাজ একদিন শেষ হবে: বিতর্ক সভায় সরব মমতা
কুণালের আরও সংযোজন, “একজন মাত্র মহিলা অভিযোগ করেছেন। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হবে। ওই জায়গায় সিপিএম, বিজেপি রয়েছে। ওরা কাউকে দিয়ে এটা করছে কিনা সেটা দেখতে হবে। ১৬৪-এ আসলে কী বলা হয়েছে সেটা আমরা কেউ জানি না। পুলিশ রাজধর্ম পালন করেছে, অভিযোগ উঠেছে তাই ধারা দিয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয়, চাপের মুখে পুলিশ মানতে বাধ্য হল!”


 
 
 
 
































































































































