মুর্শিদাবাদে সোনার দোকানে ডাকাতি করে দিব্যি গা ঢাকা দিয়েছিল। কাল হল, ফের ডাকাতির উদ্দেশ্যে বর্ধমানের কাটোয়ায় ডেরা বেধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর এক ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ডাকাতদলের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৬ লক্ষ টাকার গহনা এবং নগদ এক লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। ওই সাত জনকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে দুই মহিলাও রয়েছেন। ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে ৪০ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি দেশি পিস্তল, শাটার ভাঙার যন্ত্র এবং অস্ত্রশস্ত্র। গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে সোনার দোকানের চুরির ঘটনায় ওই দলই যুক্ত ছিল। ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার রাতে। কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের পাশে ভরতপুর সাবপোস্ট অফিসের সামনে একটি সোনার দোকান লুট করে দুষ্কৃতীরা। ভরতপুর থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দোকান মালিকের অভিযোগ, সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার গয়না লুট হয়েছে। এরই পাশাপাশি গত ৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপ বাজারে একটি সোনার দোকানে শাটার ভেঙে একই কায়দায় লুটপাট চলে।
কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি এবং আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত শুরু করে। সেখানেই দেখা যায় যে মুর্শিদাবাদের ডাকাতির সঙ্গে কাটোয়ার ডাকাতির অদ্ভূত মিল। উঠে আসে উত্তরপ্রদেশের ‘গ্যাং’-এর কথা। পুলিশ জানতে পারে, কাটোয়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেশিয়া মাঠপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করে উত্তরপ্রদেশের কয়েক জন রয়েছেন। এরপরই পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির ভিতরে দুই মহিলা-সহ পাঁচ জনকে পায় পুলিশ। লুটের ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরার যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে ওই মুখগুলির মিল থাকায় পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। তার পর তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় সোনার গয়না। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্রও।একটি দোকানে চা খাওয়ার সময় পুলিশ বাকি দু’জনকে ধরে ফেলে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান , এই দলে আরও লোকজন আছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।