বিজ্ঞান মানেই বিশেষ জ্ঞান যা আমাদের মনের অন্ধকার আর কুসংস্কার থেকে টেনে এনে আলোর পথ দেখায়। যদিও আজকাল বিজ্ঞানের খারাপ দিক সামনে আসছে, দেশ জুড়ে অপবিজ্ঞানের দাপট বাড়ছে। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই সবের মোকাবেলা করে বাংলা তথা দেশকে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার যুব বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনে আশাবাদী রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)জানান ব্যর্থতা আসবে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এর মধ্যে দিয়েও বিজ্ঞানের জয়গান গাইতে হবে সকলকে। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ( Vivekananda Yuba Bharati Krirangan) শুরু হল রাজ্য ছাত্র-যুব বিজ্ঞান মেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া বিভাগ এই মেলার আয়োজন করেছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা চলবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া বিভাগের মাননীয় সচিব ও আধিকারিকরা। ক্রীড়ামন্ত্রী (Sports Minister) জানান, আগামী দিনের বিজ্ঞানীদের খুঁজে বের করাই এই মেলার মূল লক্ষ্য।


এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে। এদের মধ্যে অনেকেই গ্রামাঞ্চলে থাকেন। তাঁদের প্রতিভা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। মন্ত্রী বলেন, গোটা দেশ জুড়ে অপবিজ্ঞানের চর্চাকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এই বিজ্ঞান মেলায় যে সব প্রতিভা উঠে এলো তাঁরাই আগামিতে আমাদের ভরসা। “মুখ্যমন্ত্রী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর ভরসা রাখেন, আস্থা রাখেন কারণ আপনারা আমাদের অগ্রদূত। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাস করেন আপনারা অপবিজ্ঞান রুখে দেওয়ার হাতিয়ার” মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর।

অরূপ বিশ্বাস জানান, জেলা স্তরে এই প্রতিযোগিতা হয়েছে সেখানে ১৫৪৬ টি মডেল উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেখান থেকে প্রথম স্থান পাওয়া ৭২ টি মডেল এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিন অনেকেই পুরস্কৃত হন তবে এখানেই শুরু বা শেষ নয়, বিজ্ঞান চর্চা হচ্ছে ব্যর্থতার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যাওয়া। সমস্ত বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা ব্যর্থতার মধ্যে দিয়েই এগিয়ে গিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। এ মেলায় প্রতিটি জেলা থেকে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক স্তর থেকে ২৩ টি বৈজ্ঞানিক মডেলের উপর প্রতিযোগিতা হচ্ছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মডেল তুলে ধরবে পড়ুয়ারা। প্রযুক্তির ধারা অব্যাহত রাখতে স্কুল কলেজে বিজ্ঞানের ব্যবহারে ক্রীড়া দফতরের এই উদ্যোগে আপ্লুত ব্রাত্য বসু।








































































































































