মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আমেরিকায় আরও এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে। ইন্ডিয়ানার পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Purdue University) পড়ুয়া নীল আচার্য নিখোঁজ হওয়ার তথ্য তাঁর মা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে নীলের দেহ উদ্ধার হওয়ার সংবাদ জানানো হয়। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দুই ভারতীয় পড়ুয়ার মর্মান্তিক অস্বাভাবিক মৃত্যুতে নিন্দা ভারতীয় কনসুলেট জেনারেলের (Consulate General of India)।

আমেরিকার ইন্ডিয়ানার পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন মার্টিনসন অনার্স কলেজের (John Martinson Honors College) কম্পিউটার ডেটা সায়েন্সের পড়ুয়া নীল আচার্য। রবিবার তাঁর মা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাড়ার গাড়িতে তিনি গিয়েছিলেন সেই চালকের পরে আর কেউ তাকে দেখেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তাঁকে খুঁজে দেওয়ার কাতর আবেদন জানান মা গৌরি আচার্য। সেই মেসেজের উত্তরে শিকাগোর ভারতীয় কনসুলেট জেনারেলের তরফে নীলের খোঁজ করার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়।

এরপরই টিপক্যানয় কাউন্টির আধিকারিকদের কাছে পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি ফোন আসে যেখানে এক ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ব্যাপারে জানানো হয়। সেখানে গিয়ে আধিকারিকরা দেহটি নীলের দেহ সনাক্ত করে। খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। অন্যদিকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগীয় প্রধানের পক্ষ থেকে নীলের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে একটি ই-মেলও করা হয়। সেই মেলে নীলকে অত্যন্ত মেধাবি পড়ুয়া হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তাঁর মৃত্যু বিভাগের জন্য বড় ক্ষতি বলেও উল্লেখ করা হয়। যদিও কিভাবে মৃত্যু তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইন্ডিয়ানা প্রশাসন।

অন্যদিকে, ১৬ জানুয়ারির পর ২৮ জানুয়ারি দুই ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারতীয় কনসুলেট। জর্জিয়ার হরিয়ানার পডু়য়ার বিবেক সাইনির মৃত্যুর ঘটনাকে আটলান্টা কনসুলেট জেনারেলের তরফে ভয়ঙ্কর, হিংস্র ও জঘন্য বলে উল্লেখ করা হয়। যদিও নীলের মৃত্যুর পরে এখনও তাঁদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।


 
 
 
 


































































































































