নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে শুভেন্দুর উস্কানিমূলক মন্তব্য, কড়া নিন্দায় তৃণমূল

0
2

বাংলাকে অশান্ত করাই যে বিজেপির সুপ্ত বাসনা, মঙ্গলবার তা প্রকাশ করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন প্রকাশ্যেই আমজনতাকে উস্কানি দেন তিনি। বলেন, আগামিদিনে আগুন জ্বলবে বাংলায়। তাঁর এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, বাংলায় অশান্তি ছড়াতে নিরন্তর চক্রান্ত করে চলেছে বিজেপি।

যাঁরা ডিএ বৃদ্ধির দাবি তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁদের সরাসরি উস্কানি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যদি কোনও অঘটন ঘটে, তাহলে বাংলা জুড়ে আগুন জ্বলবে। এখানে যত ফ্লেক্স আছে, খুলে ফেলুন এবং নবান্ন অভিযানের ডাক দিন। আমি আপনাদের একথা বলছি। আমি সেখানে আপনাদের সঙ্গে থাকব।’’

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই শুভেন্দু অধিকারীরই নেতৃত্বে আরও একটি নবান্ন অভিযান হয়েছিল। সেই ঘটনায় বিজেপির গুন্ডারা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়েছিল, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছিল।

শুভেন্দু অধিকারীর এই অতীব প্ররোচনামূলক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী আজ ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে যান এবং বলেন, ‘আগুন জ্বলবে বাংলায়’! আমাদের আশঙ্কা, বাংলাকে অশান্ত করতে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শুভেন্দু আগেও একাধিকবার বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করেছেন। আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং তাতে তিনজনের প্রাণহানি থেকে শুরু করে সম্প্রতি আমজনতাকে প্ররোচিত করতে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য পেশ – শুভেন্দু বারবার এমনটা করেছেন।’’

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট আন্দোলনকারীরা আসলে রাজ্যে বিরোধী নেতাদের হয়ে তাঁদের ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুণালের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলার হকের বিপুল টাকা আটকে রেখেছে, তা নিয়ে এই আন্দোলনকারীরা কিছুই বলছেন না। অথচ, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সীমিত সাধ্যের মধ্যেই তাঁদের দাবি পূরণের প্রয়াস করেছেন।’’

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য মঙ্গলবার তাঁরও সমালোচনা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাটে আয়োজিত বিজেপির একটি কর্মসূচিতে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ড্রোন ক্যামরার আঘাতে আহত হন এক মহিলা-সহ তিনজন। ড্রোন ক্যামেরাটি তাঁদের উপর পড়ে যায়।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র তথা বিধায়ক ডা. শশী পাঁজা এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, মানুষের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে আত্রেয়ী নদীতে পূজা। সুকান্ত মজুমদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ব্যর্থ। যার জেরে একটি ড্রোন একজন মহিলা সহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়।”