ভারতের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট সংস্থা মার্লিন গ্রুপের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা শাখা, টিডিএইচ সুইস এবং ডিআরসিএসসি এর উদ্যোগে কলকাতার ধাপা এলাকার যুব সমাজের জন্য একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হল। টিডিএইচ সুইস একটি সুইস শিশু অধিকার সংস্থা এবং ডিআরসিএসসি একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থা, যারা ধাপা এলাকা এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অংশে কর্মরত। বুধবার এই আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ড. অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং, বিশিষ্ট গায়ক এবং শিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিশনের সদস্য সৌমিত্র রায় এবং মার্লিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকেত মোহতা, ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনের রাজনৈতিক অর্থনীতি উপদেষ্টা অজিতা মেনন এবং টিডিএইচ সুইস এর পক্ষ থেকে আশীষ ঘোষ।

ডিজিটাল স্কিল ট্রেনিং সেন্টার বা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ৬০ জন ছাত্র ছাত্রীদের কম্পিউটার এবং সফট স্কিল প্রশিক্ষণ দেবে তাদের জন্য উন্নত ক্যারিয়ারের সুযোগ তৈরি করবে। এই সেন্টারের প্রশিক্ষণ ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের মৌলিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করবে। এই উপলক্ষে মার্লিন গ্রুপের এমডি এবং মার্লিন আই অ্যাম কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সাকেত মোহতা অতিরিক্ত ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষাগত সহায়তার করার ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, মার্লিন আই অ্যাম কলকাতা ২০২৩ সালে টিডিএইচ সুইস এবং ডিআরসিএসসি এর সাথে যৌথ উদ্যোগে ৪২০ জন শিশুর জন্য শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিল। চলতি বছরে এটি অতিরিক্ত ৭০ জন শিশুকে শিক্ষা গ্রহণ করতে সহায়তা করবে৷ মার্লিন আই অ্যাম কলকাতা এ বছরে ৫টি শহুরে বস্তি এলাকায় ৪৯০ জন শিশুকে শিক্ষাগত সহায়তা করবে। ধাপা এলাকায় মার্লিন গ্রুপ এই সহায়তা শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে মোট ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেবে।
ডিজিটাল স্কিল ট্রেনিং প্রোগ্রাম এবং সাপোর্ট এডুকেশন প্রোগ্রামের উদ্বোধন করার সময়, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ডঃ অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং সেখানকার পড়ুয়াদের সাঙ্গে অনেকটা সময় কাটান এবং
মার্লিন গ্রুপ এবং টিডিএইচ সুইসের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষা এই সমাজের জন্য অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। ছেলে এবং মেয়েদের সামাজিক অধিকারের পাশাপাশি সমাজের মেয়েদের শিক্ষা আরো বেশি প্রয়োজন। এই কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার যুব সমাজ কে তাদের ভবিষ্যত গড়তে সাহায্য করবে।” পাশাপাশি সাকেত মোহতা বলেন, “আমাদের মূলমন্ত্র হল মার্লিন আই অ্যাম কলকাতায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি সহ একটি সমাজ তৈরি করা। মার্লিনে আমরা মানসম্পন্ন শিক্ষা, সঠিক ভিত্তিক শিক্ষা, পরিবেশ ক্রিয়াকলাপ এবং উন্নয়নের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া শিশুদের ক্ষমতায়নের জন্য কলকাতার শহুরে বস্তি প্রকল্পে টিডিএইচ সুইস এবং ডিআরসিএসসি-কে আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এই ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার এবং এর প্রয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা আমাদের শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি আমাদের সামান্য সহায়তা সমাজের প্রান্তিক অংশকে শক্তিশালী করবে এবং তরুণ ও শিশুরা ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচির মূল বিষয়গুলি শিখবে।
মার্লিন আই অ্যাম কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারিগরি শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন জানাবে এই ডিজিটাল শিক্ষা কেন্দ্রে যুবকদের কর্মসংস্থান বাড়াতে একটি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করার জন্য। আমাদের সাপোর্ট এডুকেশন প্রোগ্রামের আওতায় আমরা ১০ জন মেধাবী পড়ুয়াকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করব।” টিডিএইচ এর এশিয়ার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আশীষ ঘোষ বলেছেন “এই সহযোগিতা একটি কর্পোরেট-এনজিও অংশীদারিত্বের উদাহরণ, যার মধ্যে মার্লিন গ্রুপ, টেরে দেস হোমস সুইস এবং ডিআরসিএস এইচ এর একত্রে হাত মিলিয়েছে। কলকাতার শহুরে বস্তির সবচেয়ে প্রান্তিক শিশুদের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা অর্জনের দিকে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।” উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত সব পড়ুয়াদের বেশিরভাগই আশেপাশের ধাপা বস্তি এলাকার বাসিন্দা। টিডিএইচ সুইস এবং ডিআরসিএসসি ৫টি কেন্দ্রে শিশুদের শিক্ষিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।







































































































































