কয়েকদিন আগে বীরভূমের এক ‘নতুন’ বাবা সদ্যোজাতকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যেতে রীতিমত উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন কন্যাসন্তান হওয়ায় কেন উৎসবের আয়োজন? যুবকের উত্তর ছিল – যে কোনও সন্তানই ঈশ্বরের আশীর্বাদ। এরাজ্যে একজন বাবা এভাবে ভাবতে পারলেও দূরত্বের ভেদে মধ্যপ্রদেশেই একজন বাবার ধ্যানধারণা অনেকটাই আলাদা। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) আজও সন্তানের লিঙ্গের ওপর নির্ভর করে বাবার ভালোবাসা। মেয়ে না হয়ে ছেলে হওয়ায় ১২ দিনের সন্তানকেও (new born) খুন করতে হাত কাঁপল না এক বাবার!
মধ্যপ্রদেশের বেতুল (Betul) জেলার বাসিন্দা অনিল উইকি ও তাঁর স্ত্রীর ইতিমধ্যেই দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এরপর তাঁর স্ত্রী কিছুদিন আগে আরেকটি পুত্রের জন্ম দেন। কিন্তু অনিল চেয়েছিলেন এবার তাঁদের মেয়ে হবে। ছেলে হওয়ায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এরপরই মদ্যপ অবস্থায় এসে স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেন ১২ দিনের শিশুটিকে। প্রচণ্ড মার খেয়ে ভয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যান স্ত্রী। পরে ঘরে ফিরে দেখেন শিশু পুত্রটি মৃত অবস্থায় পড়ে।
মৃত শিশুটির গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে প্রাথমিকভাবে। কোতওয়ালি থানায় (Kotwali police station) অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই পুলিশ গ্রেফতার করে অনিলকে। পুলিশি জেরায় সে জানায়, মেয়ে না হওয়ায় ছেলেকে খুন করেছেন তিনি। সন্তানের লিঙ্গ স্থির করতে যেখানে বাবা-মায়ের কোনও হাত থাকে না, সেখানে মায়ের কোল খালি করার জন্য যে কোনও শাস্তিই কম। সন্তান হত্যার শাস্তি হবে জেনেও কেন সদ্যোজাত ছেলেকে মেরে ফেললেন, না কি মেয়ে সন্তান কামনার মধ্যেও ছিল অন্য কোনও উদ্দেশ্য। কন্যাভ্রূণ বা মেয়ে সন্তান হত্যার পাশাপাশি এবার দেশের অনেক জায়গাতেই কী পুত্রসন্তান রক্ষার প্রচার চালাতে হবে, উঁকি দিচ্ছে সম্ভাবনা।