এক কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিক নিজেই অন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির খাতায় অভিযুক্ত! সন্দেশখালিতে আক্রান্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) এক কর্তা রাজকুমার রামের (Rajkumar Ram) বিরুদ্ধে এক বছর আগে থেকেই ষড়যন্ত্রমূলক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে CBI এর খাতায়। ২০২২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও আয়বহির্ভূত সম্পতির মালিকানা সংক্রান্ত অভিযোগ যে ইডি কর্তার বিরুদ্ধে, তিনিই সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্ত করতে। বিজেপি কী ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নামে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তদের নিয়ে রাজ্যে তান্ডব চালাচ্ছে এই ঘটনায় সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।


আয় বহির্ভূত সম্পত্তির গড়ে তোলার অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে তিনি কিনা অন্যের বাড়ি গেছিলেন তদন্ত করতে। পুরো ব্যাপারটাই যে ইডির মাধ্যমে বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির উদাহরণ তার জন্য এর থেকে ভালো প্রমাণ আর আছে কি? CBI -এর খাতায় যে FIR-এর কপি রয়েছে সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ইডি কর্তা রাজকুমারের সম্পত্তির বহর। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে তাঁর ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল। ২০২০ সালের মার্চের ৩১ তারিখে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী চন্দ্রমা কুমারীর নামে থাকা সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ৫৭ লক্ষ টাকা। আবার এই চার বছরের মধ্যে রাজকুমারের আয় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ব্যয় ১ কোটি ১৬ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। বাড়তি ওই ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার উৎস কী, উত্তর খুঁজে চলেছে সিবিআই অফিসারেরা। অর্থাৎ আর্থিক তৎশিপের অভিযোগ উঠেছে এক ইডি কর্তার বিরুদ্ধে যার তদন্তে আরেক এজেন্সি সিবিআই এর কর্তারা। আর সেই অভিযুক্ত ইডি আধিকারিক সন্দেশখালি গেছেন রেশন মামলার তদন্ত করতে! গোটা বিষয়টাকে ‘হাস্যকর চিত্রনাট্য’ বললেও কম বলা হবে। ২০১৬ সালে ইডির অফিসার পদে আসীন হন অভিযুক্ত রাজকুমার। ২০১৮ সালে পদোন্নতি হয়ে সহ-অধিকর্তা হন তিনি। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর দফতরে কর্মরত ছিলেন। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর মুখে কুলুপ বিজেপি নেতৃত্বের। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর (Arup Chakraborty) বলছেন, ‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অতীতেও সে সব প্রকাশ্যে এসেছে। এখানেই শেষ নয়, ডাকাতকে অপরাধের তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে বলে কটাক্ষও করেন তিনি।







































































































































