“সেই তো জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, শূন্য পাবে”! বাম যুবদের ব্রিগেডকে গুরুত্বহীন বললেন কুণাল

0
2

৫০ দিন ‘ইনসাফ যাত্রা শেষে আজ রবিবার সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড। দুপুর ১২টায় শুরু সমাবেশ। সকাল থেকে পায়ে হেঁটে কিছু মিছিল ও বাস ব্রিগেডমুখী হলেও সেই অর্থে কোনও উন্মাদনা নেই। ফলে ব্রিগেডের মতো সুবিশাল মাঠ যে ভরবে না তা স্পষ্ট।

এদিকে সিপিএম-এর যুব সংগঠনের এই ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ জোড়লেন তৃণমূ মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) কথায়, ”ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশের নামে কিছু লোক ব্রিগেড যাবেন, কিন্তু সিপিএমকে তাঁরা ভোট দেবেন না। সিপিএম-এর কাছে তো ব্রিগেড নতুন নয়। একুশ সালেও ব্রিগেড করেছে, তারপর শূন্য পেয়েছে। অর্থাৎ ব্রিগেড দেখিয়ে, ব্রিগেডে লোক আসছে, শিয়ালদা থেকে লোক ঢুকছে, শিয়ালদা থেকে এত মানুষ এল, সিট তো সেই গিয়ে শূন্য। বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম। যাঁরা যাবেন আজ লালঝান্ডা নিয়ে, তাঁরা চক্ষুলজ্জায় তো বলতে পারবেন না, তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ, যাঁদের বাড়িতে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, তাঁরা চুপচাপ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন, আর যাঁরা অন্ধ তৃণমূল বিরোধী তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবন, সিপিএম-এর খাতা তো থাকবে শূন্য। তাই কিছু লোক যাঁরা চক্ষুলজ্জায় দলকে বলতে পারবেন না, তাঁরা ব্রিগেডে যাবেন।”

কুণালের আরও সংযোজন, ‘সিপিএম-এর ব্রিগেড নতুন নয়, কিন্তু সিপিএম-এর ব্রিগেড মানেই সিপিএমকে ভোট নয়। সিপিএম-এর কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ, ভোটটা আগে বিজেপির কাছ থেকে ফিরিয়ে আনুক। সিপিএম কমেছে বিজেপি বেড়েছে। সিপিএম বড় বড় কথা পরে বলবে, ব্রিগেড দেখিয়ে কী হবে! এই ব্রিগেড আগে দেখা। এবারে ব্রিগেড দেখিয়ে সম্পূর্ণ হবে না, সিপিএম-এর ক্ষমতা থাকলে ৪২টা আসনে একা লড়ুক, জামানত জব্দ হবে, শূন্য পাবে, তাহলে ব্রিগেডের ভ্যালু কী আছে, ব্রিগেডের ভ্যালু নেই।”

অন্যদিকে, কটাক্ষ করবে ছাড়েননি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, ”এর আগেও ব্রিগেড করেছেন, বিধানসভার আগেও ব্রিগেড করেছিলেন বামপন্থীরা, ভরিয়েও দিয়েছিলেন, কিন্তু একটা আসনেও জিততে পারনি। ব্রিগেড করাটা বামপন্থীদের একটা ঐতিহ্য, বহু বছর ধরে, যতদিন পার্টি আছে এটা চেষ্টা করবে তারা।”