ব়্যাম্পে জ্যোৎস্না মাণ্ডি, মন্ত্রীর ভাবনায় ‘অন্য’ রঙ লাগলো উৎসবে

0
2

আগেও হয়েছে এই মেলা। আগেও তুলে ধরা হয়েছে আদিবাসী সংস্কৃতির নিদর্শনগুলি। কিন্তু আদিবাসী মেয়েরা নিজেদের সংস্কৃতির পোশাকে ব়্যাম্পে হাঁটতে পারেন তাঁরা এটা দেখল ২০২৪-এর মুকুটমণিপুর মেলা (Mukutmanipur Mela)। আর তাঁদের সৌন্দর্যের প্রদর্শনীতে নতুন পালক জুড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। বিভিন্ন বয়সী যুবতীদের সঙ্গে ব়্যাম্পে হাঁটলেন তিনিও!

গোটা বিশ্বের তাবড় ফ্যাশান ডিজাইনারদের অনেক সময় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন দেশের প্রাচীন সংস্কৃতির ধারণা থেকে পোশাক বানাতে। তাদের সঙ্গে সেই সংস্কৃতির উপযুক্ত সামগ্রীও রাখতে হয়। কিন্তু সবসময়ই সেই সব ফ্যাশান শো-এর ব়্যাম্পে (ramp) হেঁটেছে তথাকথিত প্রশিক্ষিত ‘মডেল’রা। কিন্তু সেই মিথও (myth) ভাঙতে শুরু করেছে অনেক বছর। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন উপসংস্কৃতির মানুষ নিজেদের সংস্কৃতিকে অন্যের মাধ্যমে না, নিজেরাই তুলে ধরেছেন। আর এই প্রয়াসে বারবার উৎসাহ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলে ও মেয়েরা উঠে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছে ফ্যাশান শো-এর ব়্যাম্পে।

মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই এবার তাঁর খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের (food and supply department) রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। ২৪ তম বাঁকুড়া মুটুকমণিপুর মেলার শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ ছিল বাঁকুড়ার সংস্কৃতির প্রদর্শনীর। একঝাঁক প্রত্যয়ী আদিবাসী যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেই প্রদর্শনীর জন্য তৈরি করলেন মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। তাঁরই তালিমে এক অন্য মুকুটমণিপুর উৎসব দেখল বাঁকুড়া। আর সেই প্রদর্শনীতেই অন্য আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে ব়্যাম্পে হাঁটতেও দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রীকে।

স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া থেকে নৃত্যশিল্পী, একেবারে আনকোরা যুবক-যুবতীকে মঞ্চে তুলে যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন মন্ত্রী, তার প্রশংসা শোনা গিয়েছে মেলায় ফিরতি সব মানুষের মুখেই। তবে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডির এই উদ্যোগের পিছনে একটা চ্যালেঞ্জও ছিল। তিনি চেয়েছিলেন এটা দেখাতে, যে সৌন্দর্যের বিচার গায়ের রঙ দিয়ে হয় না। মানুষের কৃষ্টিই তাঁর পরিচয় বহন করে। আর ফ্যাশান শো-এর পর সেই মত প্রতিষ্ঠায় তিনি বেশ সফল।