খায়রুল আলম, ঢাকা: ওপার বাংলায় রবিবার ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। একটি আসনের একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

বাংলাদেশের এই নির্বাচন গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে আন্তর্জাতিক মহল। কয়েক দিন ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, আল-জাজিরা সহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন।
এই নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল— আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেননা, প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান কী? জবাবে জয়সাওয়াল বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি, বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। ভারত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না— এমন প্রশ্নও করা হয় মুখপাত্রকে। তবে জয়সাওয়াল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে ভোটের বিষয়ে গতকাল কূটনীতিকদের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্রিফ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্রিফিংয়ে চীন, রাশিয়া, জাপান সহ পশ্চিমের বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা থাকলেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন না। তবে দুজনই দূতাবাস থেকে প্রতিনিধি পাঠান।
ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আমি মনে করি, এটা সফল নির্বাচন হবে। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যও মাইলফলক হবে। নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হবে।








































































































































