শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গায়ের জোরে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি (ED Officials) আধিকারিকরা। কলকাতার সল্টলেকের (Saltlake) এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। খবর পেয়েই এদিন সন্ধেয় আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। এদিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কড়া ভাষায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানান, ‘এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য লজ্জার। যা ঘটেছে, তাতে গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। কোনও মূল্যেই এটিকে বরদাস্ত করা যায় না। এই পচন আমরা থামাবই। দেশের সংবিধান আছে। আইন ব্যবস্থা আছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে বাংলায় না চলে, তা নিশ্চিত করতে আমরা সবরকম পদক্ষেপ করব।

পাশাপাশি ইডির আক্রান্ত আধিকারিকদের জন্য চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন আক্রান্ত তদন্তকারী অফিসাদের ‘ব্রেভ হার্ট’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। বোস বললেন, তাঁরা আইন-শৃঙ্খলার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত। আমরা তাঁদের কাছে ঋণী। বাংলার মানুষকে বাঁচানোর জন্য, গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য, তাঁরা যে ত্যাগ করছেন, তা মনে থাকবে।

তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, আরও কয়েক দিন সল্টলেকের হাসপাতালে রাখা হতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সহ-অধিকর্তা রাজকুমার রামকে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে সব থেকে বেশি আঘাত পান রাজকুমার। আক্রান্ত বাকি দুই ইডি আধিকারিকও ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথায় পাঁচ-ছ’টি সেলাই পড়েছে ইডির সহ-অধিকর্তাকে। ইতিমধ্যে তাঁর স্ক্যান করানো হয়েছে। তিনি এখন বেসরকারি হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন। বাকি দুই ইডি আধিকারিকেরও চোট গুরুতর বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইডির শীর্ষ আধিকারিকরা হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্তদের খবর নিয়েছেন। খবর নেওয়া হয়েছে দিল্লির ইডির সদর দফতর থেকেও খবর নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ ইডি আধিকারিকের একটি দল। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। রেশন বন্টন মামলার সূত্র ধরে সেখানে হানা দিতে গিয়েছিল ইডি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির দিকে তাঁরা যাওয়ার চেষ্টা করলেই রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীদের একাংশ। এরপর ইডি আধিকারিকেরা শাহজাহান শেখের বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। এর পরেই তাঁরা দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর করা হয়। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। ঘটনার জেরেই তিন আধিকারিক জখম হয়েছেন বলে খবর।









































































































































