সন্দেশখালি কাণ্ডে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে আসার পর এবার বিচারপতিকে নিশানায় নিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। জানালেন, চেয়ারটা বিচারপতির কিন্তু কণ্ঠ বিজেপির! রাম-বামের প্রার্থী হলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজনীতি করতে হলে চেয়ার ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে আসুন।

শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে ইডি। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। মারমুখী জনতার চাপে পিছু হটতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আধিকারিকদের। সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় সরব হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুলিশ কী করছিল, পুলিশ কি ঘটনাস্থলে যায়নি?” তার পরে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না, রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আচমকা এই ঘটনা ঘটেছে। পরিকল্পিতভাবে বিজেপি ঘটিয়েছে। উত্তেজনা তৈরি করতে ও উস্কানি দিতে। পুলিশ এসে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির এমন মন্তব্য কাঙ্খিত নয়। চেয়ারটা বিচারপতির কিন্তু কণ্ঠ বিজেপির! রাম বামের প্রার্থী হলেন এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চেয়ারে বসে চেয়ারকে অপমান করছেন।”
এখানেই না থেমে কুণাল আরও বলেন, “আপনার হাতে যদি মামলা না থেকে তবে রাজ্যপালের কি করা উচিৎ, অমুকের কী করা উচিৎ, আপনি বলার কে? নিজের উইশ লিস্ট চাপিয়ে দেবেন না। মিস্টার গঙ্গোপাধ্যায় যা বললেন তা পুরোপুরি কমরেড গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা। তৃণমূল যে সিপিএমকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছে একথা সিপিএমের সাঙ্গোপাঙ্গরা ভুলতে পারছে না। ফলে যে যেখানেই থাকুন আক্রোশটা বেরিয়া আসছে। এমনকি বিচারপতির আসনে থাকলেও। রোববার সিপিএমের ব্রিগেডে আসুন। চেয়ার টেয়ার ছেড়ে এখানে দাঁড়ান। মুখোশ পরে খেলছেন কেন? মুখোমুখি লড়াই করুন। রাজনীতি করতে হলে রাজনীতির ময়দানে হোক। বিচারপতির আসনকে ঢাল করে নয়।”
এদিকে বিচারপতির পর্যবেক্ষণের খানিক বাদেই অডিও বার্তায় রাজ্য সরকারকে বার্তা দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির ঘটনায় তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ”বাংলায় অপশাসন চলবে না। সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বর্বরতা ও নৈরাজ্যেকে কঠোর হাতে দমন করা। সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান নিজের পথে চলবে।” পাশাপাশি জানান, “রাজ্যে জঙ্গলরাজ এবং গুন্ডারাজ চলছে। সরকারের সঠিক দায়িত্ব পালন করা উচিত। এটা প্রাক নির্বাচনী হিংসা যা প্রাথমিক ভাবে শুরু করা হল। এই প্রচেষ্টাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে হবে। দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নিতে হবে।” গোটা ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজিকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল।







































































































































