প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chauduri) আচরণে এবার চরম ক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের (Congress) অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন কংগ্রেস নেতা। বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে যদি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সত্যিই জোট করতে চায়, তাহলে অধীরের ‘নজিরবিহীন’ পদক্ষেপে কেন লাগাম টানা হচ্ছে না তা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সীকে নিয়ে বামেদের সঙ্গে জোট করার পক্ষে সওয়াল করেছেন অধীর। তবে কংগ্রেস সভাপতি মাল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতারা সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এগোতে চান। তবে অধীর, দীপার এই ‘ইউটার্ন’ ইন্ডিয়া জোটে কিছুটা হলেও যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন তৃণমূল সরাসরি প্রশ্ন তোলে, “আমাদের দলের কোনও সাংসদ, বিধায়ক অথবা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্ডিয়া জোট (INDIA) বা কংগ্রেস সম্পর্কে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি? জোট রাজনীতির একটি স্বাভাবিক আচরণগত অবস্থান থাকে। কিন্তু কেন এখনও পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড লাগাম পড়াচ্ছে না এদিন সেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের বক্তব্য, অধীর চৌধুরী কোনও সাধারণ বা রাজ্য স্তরের নেতা নন। তিনি লোকসভায় বিরোধী দলনেতা। ফলে তাঁর বক্তব্যের গুরুত্ব তো থাকবেই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অধীর চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্তের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন তৃণমূলের কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।

পাশাপাশি নীতীশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটের আহ্বায়ক করার পর থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁকে নাকি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে জেডিইউ। তবে তৃণমূলের মতে, আহয়ায়ক করা মানেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা নয়। তৃণমূলের বক্তব্য, নীতীশ কুমার সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নন, তাঁর তুলনায় মল্লিকার্জুন অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। এছাড়া তৃণমূলের তরফে আসন সমঝোতার জন্য গত ৩১ ডিসেম্বর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি। তবে আসন সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত কোনও যৌথ কর্মসূচি যে হবে না বলে সাফ জানিয়েছে তৃণমূল।










































































































































