সংঘের গড় হিসেবে পরিচিত নাগপুর থেকে কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের পথ বাতলে দিয়ে জানালেন, “দেশে দুই মতাদর্শের মধ্যে লড়াই চলছে। এনডিএ এবং আইএনডিআই জোটে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে, তবে লড়াই দু’টি মতাদর্শের মধ্যে।” ব্রিটিশ শাসনের তুলনা টেনে একইসঙ্গে জানালেন, এরা দেশটাকে আরও পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

জাতীয় কংগ্রেসের ১৪৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে নাগপুরের সভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “গত ৪০ বছরের মধ্যে বেকারত্ব এখন সর্বোচ্চ।” রাহুলের কথায়, “স্বাধীনতা সংগ্রাম তৎকালীন রাজা অথবা শাসকরা লড়েননি, সংগ্রাম করেছে দেশের জনগণ। ব্রিটিশদের সঙ্গে রাজা ও শাসকদের অংশীদারিত্ব ছিল। মানুষ মনে করে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ছিল, না, রাজা-শাসকদের বিরুদ্ধেও ছিল।” এরপরই বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, সেই সময় মহিলাদের অধিকার দেওয়া হয়নি, দলিতদের স্পর্শ করা হত না। ভয়ঙ্কর পর্যায়ে ছিল জাতিভেদ প্রথা। দেশের বর্তমান সরকার দেশটাকে সেই ভয়াবহ অতীতের দিকে দেশটাকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল।
এছাড়াও উদাহরণ টেনে বিজেপির অন্দরে এখনও ‘দাসত্ব’ চলে বলে অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, একদিন লোকসভায় বিজেপির এক সাংসদ আমার সঙ্গে দেখা করেন। সবার আড়ালেই তিনি দেখা করেন। আর ওই সাক্ষাতে বিজেপিতে থাকার যন্ত্রণার কথা আমাকে জানান। তাঁর দাবি, উপর থেকে বিজেপির সমস্ত নির্দেশ আসে। তা সে ভালো হোক কিংবা মন্দ! সব মেনে নিতে হয়। এরপর নিজের দলের কথা তুলে ধরে বলেন, কংগ্রেসে গণতন্ত্র রয়েছে। দলের যে কোনও সিনিয়ার এবং জুনিয়ার নেতা তাঁর কথা বলতে পারে। এমনকি নিচে থেকে উপর পর্যন্ত সবাই কথা বলার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পান বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস সাংসদ। এমনকি নেতা-কর্মীরা তাঁকেও সমস্ত কথা বলতে পারেন।









































































































































