খুব শীঘ্রই রাজ্য পরিবহণ দফতর কম খরচে সরকারি বাইক অ্যাপ পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।মাত্র ২০ টাকাতেই মিলবে পরিষেবা। কয়েক মাস আগেই ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ চালু করে সরকারি অ্যাপ ক্যাব ট্যাক্সি পরিষেবা শুরু করেছে দফতর। তার পরেই বাইক অ্যাপ চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ শুরু হয়েছে দফতরের কর্তাদের মধ্যে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব গেলে তবেই এই অ্যাপে বাইক বুকিং করা যাবে। প্রথমে শহর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরীক্ষামূলক ভাবে এই পরিষেবা শুরু করবে রাজ্য। তার পর ধীরে ধীরে প্রকল্পে সাফল্য এলে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও সরকারি বাইক অ্যাপ পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পরিবহন দফতর জানিয়েছে , প্রথম পর্যায়ে এই পরিষেবা চালু হবে কলকাতা, হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন এবং দমদম বিমানবন্দর এলাকাতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট ভাড়ার থেকে বেশি ভাড়া চান বেসরকারি অ্যাপ চালকরা। আবার বুকিং করেও বহু সময় বাইকের দেখা মেলে না। ফলে হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রী সাধারণকে। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে এই সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুরাহা মেলে না। এমন সব অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর নিজস্ব অ্যাপ বাইক পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহণ দফতর। রাজ্য সরকারের শুরু করা এই উদ্যোগে অনেক কম টাকায় অ্যাপ বাইক পাবেন যাত্রীরা। সঙ্গে ঠিক করা হয়েছে, যদি কোনও বাইকের চালক পর পর তিনটি বুকিং বাতিল করেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই বাইকের ন্যূনতম ভাড়া কুড়ি টাকা করার ভাবনাচিন্তা চলছে পরিবহণ দফতরে।
তবে নতুন এই পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা দ্বিধাও রয়েছে পরিবহণ দফতরের কর্তাদের মনে। একাংশ মনে করছেন, রাজ্য পরিবহণ দফতরের তৈরি ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপের সঙ্গেই নতুন এই বাইক পরিষেবাকে যুক্ত করে দেওয়া হোক। তা হলে ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারা’ যাবে। নতুন কোনও অ্যাপের বদলে ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হোক এই নতুন বাইক পরিষেবা। পরিবহণ দফতর চাইছে নতুন বছরেই এই অ্যাপ বাইক পরিষেবা শুরু করে দিতে।