নতুন সংসদ ভবনে (Parliament) হামলার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক মূল পাণ্ডা ললিত ঝা (Lalit Jha)। তার খোঁজে লাগাতার তল্লাশি (Search Operation) অভিযান চালালেও এখনও অধরা অভিযুক্ত। এবার ললিতের খোঁজে কলকাতায় হাজির দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার বাগুইআটিতে (Baguiati) পৌঁছে যান দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। ওই বাড়ির মালিকের সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশের টিম। সোমবারই তদন্তকারীরা পৌঁছে যান রবীন্দ্র সরণীতে (Rabindra Sarani) ললিতের টিউশন পড়ানোর ঠিকানায়। আর মঙ্গলবার সকালেই দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) একটি দল এসে হাজির হয় ইকো পার্ক (Eco Park) থানায়। কলকাতার বাগুইআটিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত ললিত। সেই তথ্য হাতে আসার পর থেকেই ললিতকে পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা। আর সেকারণেই এদিন সকালে ললিতের বাগুইআটির ভাড়া বাড়িতে হানা দেওয়ার আগে ইকো পার্ক থানা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তারপরই সোজা পৌঁছে যান বাগুইআটির ওই ভাড়া নেওয়া বাড়িতে। তবে আচমকা দিল্লি পুলিশের কলকাতায় হানার বিষয়টি ভালো চোখে দেখতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। অভিযোগ, যেখানে সংসদের মত একটা জায়গায় নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে সেখানে দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? দিল্লি বা অন্য রাজ্যে না খুঁজে কেন প্রথমেই কলকাতায় হানা দিল দিল্লি পুলিশ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

তবে এদিন বাড়িতে হানা দিলেও ললিতের কোনও খবর মেলেনি। বাড়ির মালিক পুলিশকে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই ঘরের তালা বন্ধ। ঘরের চাবি রয়েছে ললিতের কাছেই। এদিন দিল্লি পুলিশ বাড়ির মালিকের থেকে ললিতের ঘরের চাবি চাইলে এমন কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে তাঁকে প্রশ্নও করা হয়। তবে এদিন স্থানীয়দের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে জানিয়েছেন, এই ঘরে সংসদের ঘটনার দিন তিনেক আগেও ছিলেন ললিত। গত ১০ ডিসেম্বরও ললিতকে এই বাড়িতে দেখেছেন তাঁরা। তবে ১০ তারিখ অর্থাৎ সংসদে হামলার তিন দিন আগেই ঘর বন্ধ করে চলে যায় ললিত। এদিকে সোমবার কলকাতার রবীন্দ্র সরণীতে পৌঁছন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথাও বলেন। তবে ওই ঘরও তালা বন্ধ থাকার কারণে স্থানীয় থানার অনুমতি নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ললিতের খোঁজ পেতে সব জায়গায় মরিয়া হয়ে খুঁজছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে দুটি ঘরে তালা ঝোলানো থাকলেও ওইসব ঘরগুলিও আগামী দিনে তল্লাশি হবে বলে খবর। দিল্লি থেকে কলকাতায় আসা চার পুলিশ আধিকারিক সোমবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। এমনকি হালিশহরের নীলাক্ষর বাড়িতে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট নীলাক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ললিত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তারা।









































































































































