দু’বছর ধরে সংসদে স্মোক ক্যান হামলার (Smoke Can Attack) পরিকল্পনা চলছিল। আদালতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই জমা দিলও পুলিশ (Delhi police)। ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী বা বিদেশি যোগ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক বিষয় সামনে উঠে আসছে। সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডে গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত সাগর শর্মা (Sagar Sharma) তাঁর ডাইরিতে বাড়ি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এখন সেটাকেই হাতিয়ার করে এগোতে চাইছেন তদন্তকারীরা। স্বাধীনতা যুদ্ধের থেকে শুরু করে দেশের জন্য আত্ম বলিদানের উল্লেখ সাগরের ডায়েরির পাতায়। সেখানেই মিলেছে হিটলারের সূত্রও। অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবেই যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ। মনে করা হচ্ছে অন্তত দু’বছর ধরে এই সংসদ হানার পরিকল্পনা করছিলেন ললিত (Lalit Jha) এবং তাঁর দলবল। ধীরে ধীরে সংসদের নিরাপত্তা বলয় টপকে ভিতরে যাওয়ার ছক কষেছিলেন তাঁরা।


পুলিশ আদালতে এ-ও জানিয়েছে, সংসদ হামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং এর নেপথ্য অন্য কোনও শত্রু দেশ বা জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কি না, তা বিস্তারিত ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার অর্থাৎ, ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১টা নাগাদ বিজেপি সংসদের তরফে পাওয়া প্রবেশপত্র নিয়ে এবং জুতোয় রংবোমা লুকিয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ পড়েন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক। অধিবেশন চলাকালীন জ়িরো আওয়ারে দর্শক আসন থেকে নীচে ঝাঁপ মেরে ছুড়তে থাকেন সেই রংবোমা।সংসদ ভবনের বাইরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঢুকে ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ স্লোগান তোলেন অমল শিন্ডে এবং নীলম। তাঁদের হাতেও ছিল ‘স্মোক ক্র্যাকার’। এদের পাশাপাশি ঘটনার মূল চক্রী ললিতকেও আত্মসমর্পণের পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তারপর থেকেই জেলায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৭টি স্মোক বোম নিয়ে সংসদে প্রবেশ করা হয়েছিল বলে ললিত জানিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, সংসদে দুজনের পরিবর্তে তিনজনের হানা দেওয়ার কথা ছিল এবং একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে যে দ্বিতীয় পরিকল্পনা তৈরি ছিল সেটাও জেরায় উঠে এসেছে।






































































































































