বালুরঘাটে বিডিওকে মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুভাষ সরকারকে আগেই গ্রেফতার করছিল পুলিশ।বালুরঘাট শহরের জলযোগ মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়ছিল।২০২২ এর ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না সুভাষ সরকারের।চলতি বছরের মে মাসে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকে বালুরঘাট আদালতের এডিজে দ্বিতীয় কোর্টের বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদের এজলাসে।
শুক্রবার এই মামলায় বিচারক অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুভাষ কুমার সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আদালত বিজেপি নেতাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৭ এবং ৩২৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে হেফাজতে নিয়েছে। শনিবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা হবে।
প্রসঙ্গত, ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২০ টি। যার মধ্যে ১১ টি আসন বিজেপি পেয়েছিল এবং ৯ টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠ হওয়ায় বোর্ড গঠন করেছিল। কিন্তু, বোর্ড গঠনের কয়েক মাস পরে বিজেপির প্রধান যোগ দেন তৃণমূলে। যার ফলে বিজেপি ও তৃণমূলের আসন সমান সমান হয়েছিল।
এরই মধ্যে ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সুমন দাসের মৃত্যু হয়। তার ফলে কমে যায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা। বিজেপির পক্ষ থেকে ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা আনা হয়। বিজেপির অভিযোগ, বিডিও-র তাঁদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে বলেছেন। তৃণমূল ৯, বিজেপি ১০ হলেও বিডিও-র বক্তব্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে গেলে সংখ্যাটা ১১ হতে হবে। আর এই নিয়েই শুরু হয় অশান্তি।
অভিযোগ, ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ায় বিজেপির জেডপি ১০ মণ্ডলের সভাপতি সুভাষ সরকার বালুরঘাটের বিডিওর উপর হামলা চালান। পর পর দুটি চেয়ার ছুড়ে মারা হয় বিডিওকে লক্ষ্য করে। সেই হামলার ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। এরপরই বালুরঘাট ব্লক অফিসের পক্ষ থেকে সুভাষ সরকারের নাম সহ ১০ জন বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।