৪৯৫ পাতার রিপোর্ট পড়ার জন্য ২ ঘণ্টারও কম সময়। মাত্র ৩০ মিনিটের সংসদীয় আলোচনায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই খারিজ হয়েছে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ। গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদে ঘটা এই ঘটনায় সরব হয়ে উঠলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া সুরে জানালেন, “গণতন্ত্রের বাইপাস সার্জারি হয়েছে সংসদে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হল না ওকে। এই ঘটনা গণতন্ত্রের লজ্জা। এটাই প্রমাণ করে বিজেপি কতটা প্রতিহিংসা মূলক আচরণ করে।”

বর্তমানে দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াংয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের খবর পেয়ে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “মহুয়া মানুষের ভোটে নির্বাচিত। বিজেপি তাঁকে ভোটে পরাজিত করতে না পেরে, আত্মপক্ষ সমর্থনের না দিয়ে, ৪৯৫ পাতার রিপোর্ট পাঠিয়ে আধ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিল। বারবার ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা বলেছেন, রিপোর্ট পড়ার সুযোগ দিন। তাও দেওয়া হয়নি।” একইসঙ্গে এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করা হল এভাবে। দল মহুয়া মৈত্রের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা সুবিচার চেয়েছিলাম। ২-৩ মাস বাদে ভোট। এর থেকেই বোঝা যায় বিজেপি কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ। ন্যায়ের নামে মহুয়ার বিরুদ্ধে অন্যায় হয়েছে। গণতন্ত্রের বাইপাস সার্জারি হয়েছে সংসদে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।”
এদিন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আবারও কি মহুয়া তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছে? মমতার জবাব, “না হওয়ার তো কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত দেখছি না। আর ওকে তো কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার প্রেসিডেন্টও করা হয়েছে। তাছাড়া দল তো ওর পাশেই দাঁড়িয়েছে। যা হয়েছে তা তো ধ্বনি ভোটে হয়েছে। হাত তুলে ভোট, কোনও সুযোগ না দিয়ে। এটাও রেকর্ড থাকবে।”







































































































































