মাসের পর মাস বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও একগুচ্ছ মানবিক প্রকল্পকে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য বার্ধক্য ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনেক জায়গায়। অভিযোগ সামনে আসার পর বিজয়া সম্মেলনীতে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে এই সমস্যা সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ নেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তিনি বলেছিলেন রাজ্য সরকারের তরফে এই টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তবে তৃণমূল (TMC) চেষ্টা করবে যাতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। জানুয়ারি মাস থেকে তিনি ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও এক মাস আগেই শুরু হয়ে গেল পরিষেবা প্রদান। খুশি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের মানুষ।

নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বার্ধক্যভাতা থেকে বঞ্চিত ৭০ হাজার মানুষের সহযোগিতায় তৎপর হলেন অভিষেক। স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে শুরু করলেন সবার কাছে বার্ধক্যভাতা পৌঁছে দেওয়ার এক অভিনব উদ্যোগ। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বঞ্চিত সকলের কাছে বার্ধক্যভাতা পৌঁছে দিতে চান তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবকও এই মর্মে নিয়োগ করেছে তিনি।

এই লোকসভা কেন্দ্রে ২০৩টি শিবির করবেন হচ্ছে। বার্ধক্যভাতার আবেদন শিবিরে গ্রহণ করা হচ্ছে। শিবির পর্যন্ত পৌঁছতে অক্ষম হলে স্বেচ্ছাসেবকরা তাঁকে বাড়ি গিয়ে কাগজে সই করাবেন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেককে ভাতা পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী অভিষেক। কেউ ভাতা না পেলে তাঁকে আর্থিক সাহায্য করবেন তিনি এই কথাও বলা হয়। ‘এক ডাকে অভিষেক’ নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে ছবি প্রকাশ করে লেখে, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতায় ওল্ড-পেনশন স্কিমের অধীনে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের জন্য ডায়মন্ড হারবারে ক্যাম্প সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি বয়স্ক ব্যক্তিদের সহায়তার মাধ্যমে তার শপথকে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন, মানবকল্যাণের প্রতি তার দৃঢ় অঙ্গীকার প্রমাণ করেছেন।”






































































































































