‘সংশোধিত’ হিসাব দিয়ে শিক্ষকের শূন্যপদের প্রকৃত সংখ্যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

0
3

রাজ্যে শিক্ষকের কত শূণ্যপদ রয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যা জানিয়েছিলেন,বুধবার ‘সংশোধিত’ হিসাব দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, শূন্যপদের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।

এদিন তিনি বলেন, বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি বলেছিলাম, শিক্ষকের শূন্যপদ কত, আমার পক্ষে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব নয়। কারণ প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ অবসর নিচ্ছেন। আমার কথা নিয়ে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য দিয়ে সেই বিতর্কের অবসান করতে চাই। এর পর তিনি বলেন, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে আমরা ২০২২ সালে যে তথ্য পাঠিয়েছি সেই অনুযায়ী, প্রাথমিকে এখন শূন্যপদ ১১,৭৬৫। ইতিমধ্যে ওই পদে নিয়োগ শুরু হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ১৪,৩৩৯, সেখানে আদালতের নির্দেশে কাউন্সেলিং চলছে। এ ছাড়া, মাধ্যমিকে ১৩,৫০০-র কিছু বেশি পদ খালি আছে। উচ্চ মাধ্যমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ৫,৫০০-র বেশি। এই পদগুলিতে আদালতের নির্দেশ পেলে নির্দিষ্ট ভাবে যাতে নিয়োগ শুরু করা যায়, তার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আসলে মঙ্গলবার বিধানসভায় ব্রাত্য যে হিসাব দিয়েছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, যেখানে কয়েক হাজার আন্দোলনতর চাকরিপ্রার্থীর দাবি, কয়েক লক্ষ পদ শূন্য।সেখানে মাত্র ৭৮১টি শূন্যপদের অর্থ কী? শিক্ষামন্ত্রীর দাবির সঙ্গে আদালতে তাঁর দফতরের দেওয়া বয়ানও মিলছিল না! আন্দোলনকারীদের নেতা এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থী সুশান্ত ঘোষ বলেছেন, খোদ শিক্ষা দফতর আদালতে জানিয়েছিল, মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ১৩ হাজার এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পদ শূন্য। কয়েক বছর আগেই প্রায় ৩৩০০ শূন্যপদে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়েছিল। একটি পদেও নিয়োগ না হওয়ায় সেই শূন্যপদ এত দিনে আরও বেড়ে যাওয়ার কথা।যদিও বিজেপির দাবি, রাজ্যে শূণ্য শিক্ষক পদের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ। বিজেপির এই দাবি অপপ্রচার আর কুৎসা বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।