দীর্ঘদিন ধরে খুদে পড়ুয়াদের চাল চুরি করছিলেন স্কুলেরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (Teacher In Charge)। মনে সন্দেহ দানা বাঁধলেও হাতেনাতে প্রমাণ পাচ্ছিলেন না অভিভাবকরা। শনিবার স্কুলের (School) শৌচাগারে (Washroom) ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। শৌচাগারে জমানো ড্রাম (Drum) ভর্তি চাল! পড়ুয়াদের নামে পাঠানো সরকারি চাল এভাবেই চুরি করছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমীরকুমার দে (Samir Kumar Dey)। ধরা পড়তেই প্রধান শিক্ষককে (ভারপ্রাপ্ত) বেধড়ক পেটাল জুটল গ্রামবাসীরা। উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) দেগঙ্গার চৌরাশি পঞ্চায়েতের রাজুকবেড়িয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Primary school) ঘটনা। এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের চাল ঠিকমতো পাঠালেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তা লুকিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিতেন।

শনিবার সকালে মিড-ডে মিলের চাল সরিয়ে শৌচাগারে রাখার সময় সমীর দে-কে হাতেনাতে ধরে ফেলেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি এই কাজে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাহায্য করেছেন স্কুলের আরেক শিক্ষক চৈতন্য পাল। চৈতন্যবাবু স্বীকার করেন স্কুলের চুরি করা চাল বাজারে বিক্রিও করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি স্কুলের শিক্ষক হয়ে কীভাবে এই চাল চুরির কারবার চালাচ্ছিলেন একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক? গ্রামবাসীদের দাবি চাল চুরির জন্য তৈরি হয়েছিল একটা আস্ত ভুয়ো হাজিরা খাতা। তাতে প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ জন পড়ুয়ার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। আর সেই অনুপাতে তোলা হয়েছে মিড-ডে মিলের চাল। দীর্ঘদিন ধরে সেই চাল দেদারে বাজারে বিক্রিও হয়েছে।

যদিও চৈতন্য পালের সাফাই তাঁর সই জাল করে এই কারবার চালানো হত। শনিবার ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। দীর্ঘক্ষণ তাদের তালাবন্ধ করে রাখা হয়। এমনকি তাঁদের বেধড়ক মারধরও করা হয়। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবি ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হোক।










































































































































