দেশের গ্রামীন এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের মহাকাশ গবেষনার উপরে আগ্রহ তৈরি করতে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দেবে দেশের মহাকাশ গবেষনা সংস্থা ইসরো। বুধবার কলকাতার রাজভবনে আয়োজিত গ্লোবাল এনার্জি পার্লামেন্টে অংশ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, এইবার শুক্রগ্রহে যান পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এজন্যে দ্রুত সরকারের কাছে অনুমোদন চাওয়া হবে। তার আশা আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় চাঁদে পা দেবেন। সোমনাথ জানিয়েছেন, গগনযানে মানুষ পাঠিয়ে তাঁকে পুনরায় সুস্থভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনাই আপাতত মূল লক্ষ্য ইসরোর।

ইসরো প্রধান বলেন, “আগামীতে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গগনযান। যে গগনযানের মাধ্যমে মানুষকে মহাকাশে পাঠিয়ে তাঁকে পুনরায় সুস্থভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য আমাদের ।” বুধবার কলকাতার রাজভবনে শুরু হওয়া গ্লোবাল এনার্জি পার্লামেন্টের ত্রয়োদশতম অধিবেশনে অংশ নিয়ে চন্দ্রযান তিন-এর সাফল্য ও পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য অর্জনের জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এ দিন তাঁকে ‘গভরর্নরস এক্সেলেন্স আওয়ার্ড’ প্রদান করেন। রাজ্যপাল তার হাতে ২ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি চেক তুলে দেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান ইসরো চেয়ারম্যান। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পিছনে যে পরিশ্রম ছিল, সে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গ্লোবাল এনার্জি পার্লামেন্ট একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ২০১০ সালে তা প্রতিষ্ঠার পর থেকে জিইপি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, সুইৎজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা-সহ বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সেশন পরিচালনা করেছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্স, ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল বিসিবি



































































































































